আফগানদের বিপক্ষে পাকিস্তানের ঘাম ঝরানো জয়

Dno75AXWsAAkl17শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্বে হারানো আফগানিস্তান পাকিস্তানের বিপক্ষেও দারুণ লড়াই করেছে। সাফল্যের দেখা না পেলেও প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিয়েছে তারা। শেষ পর্যন্ত শোয়েব মালিকের ব্যাটে ৩ উইকেটের ঘাম ঝরানো জয়ে সুপার ফোর শুরু করেছে পাকিস্তান।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে‍ুহাসমতউল্লাহ শহীদী ও আসগর স্ট্যানিকজাইয়ের কার্যকরী দুটি হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করে আফগানিস্তান। বাবর আজম, ইমাম উল হক ও মালিকের হাফসেঞ্চুরিতে ৪৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান করে পাকিস্তান।

মন্থর উইকেটে ১১৮ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হাসমতউল্লাহ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্সের সঙ্গে স্ট্যানিকজাইয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।

মোহাম্মদ নওয়াজকে প্রথম বলে ছয় মেরে শুরু করা স্ট্যানিকজাই খেলেন ঝড়ো ইনিংস। ২ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ছিল তার ৫৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ৬৫ রানে হারিস সোহেলের হাতে জীবন পাওয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি আফগান অধিনায়ক। অভিষেক ম্যাচে তাকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নেন আফ্রিদি।

পাকিস্তান এদিন আরও ক্যাচ মিস করেছে। আফ্রিদির বলে শুরুতে আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ দুইবার জীবন পান ফখর জামান ও উসমান আলীর কাছে। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে আফ্রিদি একবার ক্যাচ ফেলেন শহীদীর।

ইমামের ইনিংস পাকিস্তানকে জয়ের পথে রেখেছিলফর্মহীন মোহাম্মদ আমিরের জায়গায় ঢোকা আফ্রিদি নেন ২টি উইকেট। এশিয়া কাপে নিজের প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফল বোলার নওয়াজ।

জবাবে প্রথম ওভারেই ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। এই ওপেনার রানের খাতা না খুলে মুজিব উর রহমানের কাছে এলবিডাব্লিউ হন। তবে ইমাম উল হক ও বাবর আজমের অসাধারণ জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান। দুজনের হাফসেঞ্চুরিতে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে তারা।

১০৪ বলে ৮০ রান করে নাজিবউল্লাহ জাদরানের থ্রোয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডে পৌঁছানোর আগেই আউট হন ইমাম। এক ওভার বিরতি দিয়ে বাবরকে ৬৬ রানে শাহজাদের ক্যাচ বানান রশিদ খান।

ডেথ ওভারে আফগান বোলারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তান আরও ৪ উইকেট হারায়। রশিদ তার শেষ দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ান। তবে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন মালিক। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছয় ও চার মেরে দলকে জয় এনে দেন মালিক। ৪৩ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে ৫১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন তিনি।

রশিদ নেন সবচেয়ে বেশি ৩ উইকেট। দুটি পান মুজিব।