এখনও ফাইনাল খেলার স্বপ্ন মাশরাফির

মাশরাফি ১সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে লড়াই করার মতো স্কোর বাংলাদেশ জমা করতে পারেনি বোর্ডে। এজন্য ব্যাটসম্যানদের দুষছেন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। তবে পরের ম্যাচে তাদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স দেখতে চান তিনি। তার আশা হতাশ করবেন না ব্যাটসম্যানরা। ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে রবিবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে চান মাশরাফি।

ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হারে সেরা চারে শুরু করা বাংলাদেশের সামনে এখন বাঁচা মরার লড়াই। ফাইনালে উঠতে পরের দুই ম্যাচ জিততেই হবে মাশরাফিদের। তাদের সামনে প্রথম বাধা আফগানিস্তান, যাদের কাছে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১৩৬ রানের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।

সেরা চারের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের কাছে ওই হার নিশ্চিতভাবে চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামার বিকল্প রাস্তা নেই তাদের সামনে। মাশরাফির কণ্ঠে তাই দৃঢ় বিশ্বাস, ‘এখনও ফাইনাল খেলা সম্ভব, এমন বাজে অবস্থার মধ্যেও। আমার মতে এত হতাশার কিছু নেই। যদিও দুই ম্যাচে টানা হার হতাশার, বিশেষ করে এই ম্যাচে (ভারতের বিপক্ষে)। আজও ব্যাটিং ভোগাল।’

আশাবাদী মাশরাফি বলেন, ‘তবে এখনও সুযোগ আছে (ফাইনাল খেলার)। যদি আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারি, তাহলে ফিফটি ফিফটি সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের মোকাবিলা করব। মনে রাখতে হবে এখনও আমরা ছিটকে যাইনি। আমাদের ভুলগুলো ঠিক করতে হবে। হাতে পুরো একটা দিন আছে।’

রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন। মাত্র ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লে ম্যাচে ফেরা কঠিন মানছেন মাশরাফি, ‘দ্রুত উইকেট পড়লে খেলায় ফিরে আসা কঠিন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই উইকেট পড়ার পর তামিমের চোট, তারপরও একটা বড় জুটি হয়েছে। কিন্তু শেষ দুটি ম্যাচে তেমন জুটি হয়নি।’

তামিম ইকবাল ছিটকে যাওয়ার পর লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে নেমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি ওপেনারের অভাব ভালোভাবে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে তামিম বাদ পড়ার কোনও প্রভাব দলে পড়েছে মনে করছেন না মাশরাফি, ‘ড্রেসিংরুমে এর কোনও প্রভাব নেই। আসলে ইনিংসের শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচে ফেরা খুব কঠিন। প্রত্যেক ম্যাচেই দুই-তিনটা উইকেট পড়ে যাচ্ছে শুরুতে। তারপরই ড্রেসিংরুমে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ছে। প্রথম ম্যাচে তাও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বমানের বোলারদের সঙ্গে পেরে উঠিনি, ব্যর্থ হলাম আজও। ২৫০-২৬০ হলে এই উইকেটে হয়তো খেলাটা অন্যরকম হতে পারত।’

শট বাছাইয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা প্রায় সময়ই ছিল। ভারতের বিপক্ষে যেন সবাই সেই দুর্বলতা ফুটিয়ে তুললেন স্পষ্ট করে। ব্যাটসম্যানদের এই আত্মাহুতিতে বিরক্ত মাশরাফি, ‘সবার আউটের ধরন হতাশার। সবাই বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। ওদের রিস্ট স্পিনাররা কিন্তু আজ বেশি উইকেট পায়নি। জাদেজা হঠাৎ করে এসে চারটা উইকেট নিয়ে গেছে, তাও সবগুলোই ব্যাটসম্যানদের দোষে।’