এই এশিয়া কাপে ফাইনালের আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটিটি ১৬ রানের। কিন্তু শিরোপার লড়াইয়ে নতুন ভূমিকায় মিরাজ দুর্দান্ত অবদান রাখেন লিটনের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়ে। অথচ প্রস্তুতি নেওয়ার বেশি সময় পাননি তিনি।
নতুন এই অভিজ্ঞতায় উচ্ছ্বসিত মিরাজ আগের রাতে ওপেনিংয়ে নামার প্রস্তাব পান, “আগের রাতে ডিনার করার সময় মাশরাফি ভাই আমাকে বললেন, ‘ওপেনিংয়ে নামতে পারবি?’ আমিও বললাম, ‘আপনি যদি বলেন দলের প্রয়োজনে করতে পারব।’ তিনি আমাকে সাহস নিয়ে ব্যাটিং করতে বললেন। রিয়াদ ভাইসহ সবাই আমাকে এই ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছেন। আমার জন্য দারুণ হলো, নতুন একটা অভিজ্ঞতা।”
জাতীয় দলে ওপেনিংয়ে নেমে পরিকল্পনা কী ছিল জানতে চাইলে মিরাজের সহজ-সরল জবাব, ‘প্রয়োজনে যখন যেখানে দরকার আমি সেখানেই ব্যাট করতে প্রস্তুত। গতকাল (শুক্রবার) ওপেনিংয়ে নেমেছি যেন উইকেট না দিতে হয় ভেবে। মাশরাফি ভাই আমাকে একটা কথাই বলেছেন, প্রথম ১০ ওভারে রান যদি ২০ হয় তাও টিকে থাকতে হবে। আমারও পরিকল্পনা ছিল সেটা, সেভাবেই খেলেছি। চেষ্টা করেছি উইকেট ধরে রাখার। আমি আস্তে আস্তে প্রান্ত বদল করে খেলেছি। লিটন কিন্তু টিকে থেকে আগ্রাসী খেলেছে।’
২১তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন মিরাজ। একশ ছাড়ানো জুটি গড়ার পথে বেশ সতর্ক হয়ে ব্যাট করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কেদার যাদবের বলে আম্বাতি রাইডুর ক্যাচ হওয়ার আগে ৫৯ বলে করেন ৩২ রান।