দুবাইয়ে উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম ওভারেই লিটন দাস আর সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পরের ওভারে হাতে ব্যথা পেয়ে ফিরে আসেন তামিম ইকবাল। এমন দুঃসময়ে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিঠুনের ১৩১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় মাশরাফির দল। মুশফিকের অনবদ্য ১৪৪ আর মিঠুনের দৃঢ়তাভরা ৬৩ রানে ভর করে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ২৬১ রান। তারপর দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ১৫ ওভার আগেই অলআউট করে জিতে যায় ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের পরিত্রাতা মিঠুন আর মুশফিক। অলিখিত সেমিফাইনালে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল, ঠিক তখনই ১৪৪ রানের জুটিতে টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। মুশফিকের আক্ষেপভরা ৯৯ রানের সঙ্গে মিঠুনের ৬০ রানের দারুণ ইনিংস এনে দিয়েছিল ২৩৯ রানের পুঁজি। এরপর আবার দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ের যোগফলে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩৭ রানের জয়।
ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অবশ্য ২ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দুটো লড়াকু ইনিংস আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে মিঠুনের মনে। রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগের চেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। আগে এক ধরনের জড়তা কাজ করতো মনের মধ্যে। মনে হতো, ভালো না করলে আবার বাদ পড়ে যাবো। কিন্তু এখন এমন দুর্ভাবনা নেই। এশিয়া কাপে সাফল্য এসেছে। আমি তাই আত্মবিশ্বাসী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারবো।’
চার বছর আগে অভিষেক হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৯টি ওয়ানডে খেলেছেন মিঠুন। এর মধ্যে এ বছরই ৭টি ওডিআই। গত আগস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে দারুণ পারফর্ম করে সুযোগ পান এশিয়া কাপে। দুবাই-আবুধাবির তীব্র গরমের সঙ্গে লড়াই করে সাফল্য পেয়েছেন এশিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে। তাই প্রত্যাশিতভাবে তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে। টানা দুটো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে আগে কখনও সুযোগ পাননি। ব্যাপারটা কীভাবে দেখছেন? মিঠুনের উত্তর, ‘এবার প্রথম ম্যাচেই রান করেছি। আগে কখনও এমন হয়নি। আগে এমন হলে হয়তো দলে নিয়মিত সুযোগ পেতাম। যাহোক, এখন পেছনের কথা ভাবতে চাই না, সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’
আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে মিঠুনের ভাবনা, ‘আপাতত জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে চিন্তা করছি। বিশ্বকাপ আসতে এখনও অনেক দেরি। ততদিন সুস্থ থাকতে হবে, পারফর্ম করতে হবে। অবশ্যই আমি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখি।’