এক সেঞ্চুরিতে বদলে যাওয়া লিটন

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেট রক্ষণেও পারদর্শী লিটনলিটন দাসের প্রতিভা নিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকেরই সংশয় ছিল না। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই তার অভিষেক। তবে সেঞ্চুরি ধরা দিচ্ছিল না কিছুতেই। গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ৯৪ রানে আউট হয়ে অল্পের জন্য ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে পারেননি। অবশেষে আক্ষেপ দূর হলো এশিয়া কাপ ফাইনালে, ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে। আর সেই ইনিংসের সৌরভে লিটন এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী।

জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে লিটন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো খেলতে পারছিলাম না। এশিয়া কাপ ফাইনালে সেঞ্চুরির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করবো।’

দুবাইয়ের ফাইনালে ১১৭ বলে ১২১ রানের অনবদ্য ইনিংস আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে তার মনে, ‘আমি এখন আগের চেয়ে অনেকখানি চাপমুক্ত। সেঞ্চুরিটা করে একটু হলেও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’ ‘আপনি তাহলে এখন বড় ক্রিকেটার?’ প্রশ্নটা অবশ্য হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিলেন ডানহাতি ওপেনার, ‘আমি এখনও বড় প্লেয়ার হইনি। তবে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে নিয়মিত পারফর্ম করার চেষ্টা করবো।’

ফাইনালের সেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন না লিটন, ‘আমার কাছে প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যি, একটা ম্যাচ কারও কারও ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমাকে পরের ম্যাচ শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। তাই ফাইনালের সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। তবে পারফর্ম করলে মাথা থেকে দুশ্চিন্তা সরে যায়। ক্রিকেট তো আসলে মেন্টাল গেম। আগে ভালো খেলতে না পারায় নিজের সামর্থ্য নিয়ে নিজের মধ্যেই প্রশ্ন ছিল। সেঞ্চুরিটা করে কিছুটা চাপমুক্ত হয়েছি।’

দুবাই থেকে ফেরার পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ১৪২ বলে ২০৩ রানের চমৎকার ইনিংস এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির (১৪০ বলে) রেকর্ড এখন তারই। তবে এমন দুর্দান্ত কীর্তি গড়লেও লিটনের কাছে দুবাইয়ের সেঞ্চুরির মাহাত্ম্যই বেশি, ‘আপনারা জানেন, আমি অনেক দিন ফর্মে ছিলাম না। তাই ফর্মে ফেরা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাছাড়া জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি আমার কাছে বিশাল ব্যাপার।’