বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্বকাপ ট্রফি চলে আসে মিরপুর স্টেডিয়ামে। ‘হোম অফ ক্রিকেটে’ স্বপ্নের ট্রফি গ্রহণের দায়িত্ব ছিল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ওপর। এসময় তার সঙ্গে ছিল ইউনিসেফ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা।
এরপর বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এক সঙ্গে ছবি তোলার পর একে একে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাজমুল ইসলাম অপু ও মোহাম্মদ মিঠুন।
ওয়ানডে ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক দেখে নান্নু কিছু আবেগাক্রান্ত। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ‘ইনশাল্লাহ একদিন বিশ্বকাপ ট্রফি আমাদের ঘরে আসবে। এখন আমরা যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি তাতে সামনের বিশ্বকাপে ভালো ফলের আশা করতেই পারি। তরুণরা এই ট্রফি দেখে উজ্জীবিত হবে। আমার বিশ্বাস, আগামী বিশ্বকাপে আমরা ভালোই করবো।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে বিশ্বকাপ ট্রফি স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাবে যে কেউ। পরদিন সিলেটে যাবে ট্রফি, থাকবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং সিলেট ক্যাডেট কলেজে। সিলেট স্টেডিয়ামে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীরা ট্রফির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। এর আগে ইউনিসেফের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা ছবি তুলবে ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে।
সিলেট থেকে আগামী শনিবার ট্রফি চলে যাবে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিসেফের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ছবি তোলার পর্ব শেষ হলে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ক্রিকেট-ভক্তরা দেখার সুযোগ পাবেন সোনালী স্মারকটি।
গত ২৭ আগস্ট দুবাইয়ে আইসিসির সদর দফতর থেকে শুরু হয় বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব পরিভ্রমণ। ২০টি দেশ ঘুরে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক ১০০ দিন আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্রফি পৌঁছাবে ইংল্যান্ডে। ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই ক্রিকেটের জন্মভূমিতেই হবে ‘ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধ’।