‘সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু নেই, দায়িত্ব সবার’

সাকিব আল হাসানতামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান নেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে। এজন্য বাংলাদেশ শক্তিতে পিছিয়ে গেছে মনে করেন না সাকিব। দলের সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে বললেন তিনি।

কেবল সিনিয়ররা অবদান রাখবে তা নয়, জুনিয়রদেরও এগিয়ে আসতে হবে- এমনটাই মনে করেন সাকিব। লা মেরিডিয়ানে এক ইভেন্টে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার কাছে জুনিয়র-সিনিয়র শব্দই পছন্দ না। কারণ দলের সবার সামর্থ্য আছে। এখানে সিনিয়রের বেশি দায়িত্ব, জুনিয়রের কম দায়িত্ব এমন না। সবার একটাই দায়িত্ব- কিভাবে দলকে জেতানো যায় সেই চেষ্টা করা। কোনোদিন দুই-তিনজন ভালো খেলবে, আবার কোনোদিন চার-পাঁচজন। একটা ম্যাচে ১১ জন ভালো খেলা সম্ভব নয়। এমনটা হলে তো আমরা কোনও ম্যাচই হারতাম না।’

কয়েক বছর আগের বাংলাদেশ, আর এই বাংলাদেশের মধ্যে অনেক তফাৎ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে হারের তেতো স্বাদ পাওয়া সাকিব বললেন সেই কথা, ‘আমার যখন অভিষেক হয়েছিল, তখন আমরা জিম্বাবুয়ের কাছে হারতাম। আর এখন তাদের হারাই। তবে তাদেরকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। কারণ আমাদের ভুলের সুযোগ নেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে।’

এশিয়া কাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেই সৌম্য সরকার। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে আবার ফর্মে ফিরেছেন। তার বাদ পড়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘যারা দলে সুযোগ পেয়েছে তারা ভালো খেলেই এসেছে। যারা ফর্মে নেই তারা বাদ পড়েছে। তাই বলে তারা যে খারাপ খেলোয়াড় সেটা নয়। যখন যার সুযোগ আসবে সে অবশ্যই চেষ্টা করবে সেরাটা দেওয়ার। যারা সুযোগ পায়নি তাদেরও চেষ্টা করতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করার।’

কয়েকদিন আগে মেলোবার্ন থেকে বিশেষজ্ঞ সার্জনকে দেখিয়ে দেশে ফিরেছেন সাকিব। এখন কিছুটা সুস্থবোধ করছেন শীর্ষ অলরাউন্ডার, ‘এখন আসলে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছি না। ইনফেকশন হলো একমাসও হয়নি। এক-দেড় মাস গেলে বোঝা যাবে কী অবস্থা। রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সব কিছু ভালোর দিকে। দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। এখন সময়ের ব্যাপার আর কী।’

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরতে চান সাকিব। কিন্তু সেটা কবে জানেন না সাকিব, ‘আমার ইচ্ছার ওপর তো কিছু নির্ভর করছে না। সুস্থ হলে খেলব। এখানে জোরাজুরির কোনও সুযোগ নেই, আবার বসে থাকারও সুযোগ নেই। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’