মুশফিকে অনুপ্রাণিত ইমরুল

হাস্যোজ্জ্বল মুশফিক ও ইমরুলমুশফিকুর রহিমের অধ্যাবসায় বেশ উদ্বুদ্ধ করে ইমরুল কায়েসকে। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে সবসময় শেখার চেষ্টা করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চাপ কেমন করে মোকাবিলা করতে হয় সেটাও মুশফিককে দেখে শিখেছেন তিনি।

সমবয়সী সতীর্থ মুশফিক অনুপ্রাণিত করে ইমরুলকে। রবিবার মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলার পর ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান জানান, তার কাছে অনুসরণীয় একজন ক্রিকেটার মুশফিক। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম করে তার সুফল সে পাবেই। আমি মুশফিককে দেখে অনেক কিছু শিখেছি। সে অনেক কষ্ট করে। আর কষ্ট করেই সে আজকের মুশফিকুর রহিম হয়ে উঠেছে। আমি সবসময় এটা অনুসরণ করার চেষ্টা করি।’

গত ১৪ অক্টোবর ইমরুলের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ১০ বছর পূর্ণ হলো। এত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের পর ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু হলো কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আমি ভালো খেলেছি, এটাই বড় ব্যাপার। যখনই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাই, তখনই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। দেশের হয়ে খেলা অনেক সম্মানের। সুযোগ পেলেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’ 

ক্যারিয়ারের দুই বছরের মাথায় ২০১০ সালে প্রথম সেঞ্চুরি পান ইমরুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন কন্ডিশনে ১০১ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ৭ বছর। ২০১৬ সালে ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন। এমন দুটি ইনিংস খেললেও জয় উদযাপন করা হয়নি। তবে রবিবার তার সেঞ্চুরি সাফল্যের ‍মুখ দেখেছে। তাই ইমরুলের মনে প্রশান্তি, ‘সেঞ্চুরি করে কিংবা ভালো ইনিংস খেলে দল না জিতলে খারাপ লাগে। আজ সেঞ্চুরি করেছি এবং কঠিন সময়ে ইনিংসটাকে তৈরি করেছি। এরপর দলও জিতেছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের। আমার এই অবদান দলের সবাই মিলে উদযাপন করেছে।’

পুরো ক্যারিয়ারে জাতীয় দলে অনিয়মিত ছিলেন ইমরুল। কিন্তু যখনই সুযোাগ পেয়েছেন, উজাড় করে দিয়েছেন। খেলেছেন কয়েকটি দুর্দান্ত ইনিংস। দলে নিয়মিত না হলেও কিভাবে প্রস্তুত রাখেন নিজেকে? ইমরুল জানালেন তার উত্তর, ‘ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারে উত্থান পতন থাকবেই। কেউ কখনও একই ধারাবাহিকতায় টানা খেলতে পারে না। আমার ক্ষেত্রে হয়তো অন্য কেউ এসে ভালো খেলে ফেলেছে। এজন্য আমি জায়গা পাইনি। এখন আমি এগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। আমি বিশ্বাস করি আমার ক্যারিয়ার এত দ্রুত শেষ হতে পারে না। আমি সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখি।’