ঢাকা বিভাগ-চট্টগ্রাম বিভাগ
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনটি ছিল নাঈম হাসানের। তার ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। বল হাতে এই স্পিনারের একারই শিকার ৮ উইকেট। নাঈমের ঘূর্ণির সামনে দিশেহারা ঢাকা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২৮৮ রানে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগের ম্যাচেই ৬ উইকেট পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের স্পিনার। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়ে এই ফরম্যাটে নিজের সেরা বোলিংটা করলেন তিনি। ১০৬ রান খরচায় নাঈম পেয়েছেন ৮ উইকেট। সাইফ হাসান (৪১) ও নাজমুল হোসেন মিলন (৩৫) ছাড়া ঢাকার বাকি সব উইকেট তার দখলে।
রাকিবুল হাসানকে (১৭) দিয়ে শুরু করেন তিনি উইকেট উৎসব। এরপর ফিরিয়েছেন ঢাকার ইনিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক আব্দুল মজিদকে। ১৮৯ বলে ৭২ রান করেছেন এই ওপেনার। নাঈমের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তাইবুর রহমান (৪), নাদিফ চৌধুরী (৪), শুভাগত হোম (৫৭), মোশাররফ রুবেল (২), শাহাদত হোসেন (৩৪) ও সালাউদ্দিন শাকিল (০)।
ঢাকা বিভাগ ২৮৮ রানে অলআউট হওয়ার পর দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে চট্টগ্রাম।
সিলেট-ঢাকা মেট্রো
রাজশাহীতে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামেও দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। ঢাকা মেট্রোর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিলেট তাদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে করেছে ২৯১ রান।
চট্টগ্রামের মতো ঢাকা মেট্রোতে একক কোনও পারফরম্যান্স নেই, বল হাতে কম-বেশি সবাই অবদান রেখেছেন। সিলেটের ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বলেই দিন শেষে তাদের নেই ৯ উইকেট।
হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন সিলেটের তিন ব্যাটসম্যান- শানাজ আহমেদ (৬০), শাহানূর রহমান (৫৪) ও জাকির হাসান (৫০)। ৮৯ রানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটির পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সিলেট। অধিনায়ক ইমতিয়াজ হোসেন ৩১ রান করে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
অলক কাপালি করেন ২০ রান, রাজিন সালেহ আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রানে। আর শেষ দিকে আবু জায়েদ করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান। দিন শেষে অপরাজিত আছেন খালেদ আহমেদ (৫*) ও এবাদত হোসেন (৪*)।
চমৎকার বোলিংয়ের দিনে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন কাজী অনিক, আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ আশরাফুল।