মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে ঢাকা মেট্রোর লড়াই

মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে লড়াই করেছে ঢাকা মেট্রোরাজশাহীতে সিলেটকে গুটিয়ে দেওয়ার পর ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ঝলমলে চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইয়াসির আলী।

সিলেট-ঢাকা মেট্রো

প্রথম ইনিংসে সিলেটকে ৩১২ রানে অলআউট করার পর মার্শাল আইয়ুবের হাফসেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা মেট্রো। ৮ উইকেটে ২৬৭ রানে মঙ্গলবারের খেলা শেষ করেছে তারা। ২ উইকেট হাতে রেখে ৪৫ রানে পিছিয়ে মেট্রো।

৯ উইকেটে ২৯২ রানে দ্বিতীয় দিন খেলতে নামে সিলেট। এবাদত হোসেনকে ১১ রানে ফিরিয়ে তাদের থামান আসিফ আহমেদ।

কাজী অনিক, আরাফাত সানি, আসিফ হোসেন ও মোহাম্মদ আশরাফুল মেট্রোর পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে মেট্রো ৪৫ রানে ২ উইকেট হারায়। শামসুর রহমানের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়ে তাদের স্বস্তিতে ফেরান আইয়ুব। ৬৩ রানে শামসুর ফিরে গেলে আবার বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় মেট্রো। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আইয়ুব।

দলীয় ২০৯ রানে ইনিংস সেরা ৭৪ রানে আউট হন মেট্রো অধিনায়ক। জাবিদ হোসেন ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের ব্যবধান কমাতে লড়াই করে যাচ্ছেন। অন্য প্রান্তে ২ রানে খেলছেন আসিফ।

সিলেটের পক্ষে খালেদ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে আগের দিন ২৮৮ রানে ঢাকাকে গুটিয়ে দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম ইনিংস শুরু করে চট্টগ্রাম। শুরুতেই তারা ধাক্কা খায়। তবে অধিনায়ক ইয়াসির আলী পথ দেখায় ৬০ রানের সেরা ইনিংস খেলে। যদিও টপ অর্ডারে ধস নামলে হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ইফতেখার সাজ্জাদ।

১২৪ রানে চট্টগ্রাম ৫ উইকেট হারায়। মাহিদুল ও ইফতেখারের ৭৫ রানের জুটিতে এই বিপর্যয় সামাল দেয় তারা। যদিও দুজনেই ফিরে যান দলীয় স্কোর ২০০ রান হওয়ার আগেই।

ইফতেখার ৪৬ রানে, আর মাহিদুল ৪০ রানে বিদায় নেন। দিন শেষ হওয়ার কয়েক ওভার আগে অষ্টম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ২ উইকেট হাতে রেখে এখনও ৬৫ রানে পিছিয়ে তারা।