আত্মবিশ্বাস বেড়েছে আরিফুলের

আরিফুল হকসিলেটে টেস্ট অভিষেক হয়েছে আরিফুল হকের। বল হাতে তেমন সুযোগ না পাওয়া এই অলরাউন্ডার ব্যাটিংয়ে ভাগ্যের দোষ দিতেই পারেন। সতীর্থদের ব্যর্থতায় ইনিংস লম্বা করার সুযোগ হয়নি যে তার। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে বিপর্যয়ের মাঝে করেন ৩৮ রান। মাঝারি মানের দুটো ইনিংসেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে তার।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আরিফুল হক। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে তার বক্তব্য, ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রথম টেস্ট ভালো হয়েছে। ওখানে খেলে  আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বোলাররা বাজে বল করবে না, ওভাবেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। ম্যাচটি খেলে আমার চিন্তা-ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে নিজেকে।’

এ বছর নিয়মিত জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও খেলা হচ্ছিল না আরিফুলের। অনেক অপেক্ষার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ও সিলেট টেস্টের একাদশে সুযোগ মেলে তার। টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করার অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি, ‘আমার স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। আমি চাই জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ দিন টেস্ট খেলে যেতে। সব ফরম্যাটেই আমার খেলার ইচ্ছা। যখন যে ফরম্যাটে খেলব, সেই ফরম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’

প্রথম সুযোগে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন আরিফুল। আহামরি না হলেও ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। যদিও গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন না, নিজেকে প্রমাণে আরও পরিশ্রম করে যেতে চান তিনি, ‘এখনও তেমন কিছু করিনি। আমার চিন্তা বড় কিছু করার। চাই শতভাগ না পারি, ৯০ ভাগ যেন দিতে পারি।’

সিলেট টেস্টে মাত্র ৪ ওভার বল করেছিলেন আরিফুল। দলে এক পেসার থাকার পরও তাকে দিয়ে বল করাননি মাহমুদউল্লাহ। বোলিংয়ে অধিনায়কের আস্থা অর্জন করে নিতে আরিফুল বিপিএলকে লক্ষ্য বানাচ্ছেন, ‘বোলিং নিয়েও কাজ করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও ভালো করতে হবে। বিপিএলে ভালো বোলিং করতে পারলে জাতীয় দলে সুযোগ মিলবে।’