এই টেস্টে মোস্তাফিজের সঙ্গে সম্ভাবনাময় খালেদ আহমেদকে দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে তার প্রতিভা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে উইকেট তুলে নেওয়ার দারুণ সক্ষমতার প্রতি সুবিচার করে। প্রথম ইনিংসে তার বলে দুটি ক্যাচ ফেলে দিয়েছে সতীর্থরা, যেটা একজন অভিষিক্ত বোলারের প্রাপ্তির আনন্দকে কেড়ে নিয়েছে নিঃসন্দেহে।
দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা ধরাশয়ী হলো জিম্বাবুয়ের পেস বোলিংয়ে, অথচ একই দিনে শেষ সেশনে যখন ৪৪২ রানের বিশাল লিড হাতে নিয়ে আমরা ফিল্ডিংয়ে নামলাম, তখন চকচকে নতুন শক্ত বলে একপ্রান্ত থেকে বল করার সৌভাগ্য খালেদের হলো না। মোস্তাফিজের সঙ্গে বল করলেন তাইজুল ইসলাম। নতুন বলে বল করার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখার ও দলকে দেওয়ার আছে একজন পেস বোলারের। এমন কমান্ডিং পজিশনে থেকে স্পিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের পেস বোলিং ইউনিটের ওপর আস্থা রাখা উচিত। নতুন বলে কিভাবে উইকেট তুলে নেওয়া যায়, তা শেখার সুযোগ থেকে কখনোই একজন পেসারকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। কোর্টনি ওয়ালশ কি শেখালেন খালেদকে, নতুন বল তার হাতে না দিলে সেটা পরখই বা করবেন কিভাবে? ওয়ান চেঞ্জে খালেদ বল করেছেন এবং ফিল্ডিং কোচ আবারও দেখলেন সেই ক্যাচ কিভাবে মাটিতে পড়ে গেল।
ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যান তার নিজ গুণে তার ইনিংস অনেক আলোকিত করতে পারেন, কিন্তু বোলারদের কিছুটা নির্ভর করতে হয় তার সতীর্থ ফিল্ডম্যানদের ওপর ও তার অধিনায়ক তাকে বল করার জন্য কতটুকু প্রাধান্য দিচ্ছেন পুরো ইনিংস জুড়ে।
আমার পর্যবেক্ষণে ১৪০ কিলোমিটারের উপরে বল করতে পারার ক্ষমতাধারী খালেদকে নতুন বলের ভাগিদার না করাটা পেস বোলিং ইউনিটকে আমাদের মূল শক্তি স্পিন আক্রমণের পাশে সাপোর্টিং ইউনিট হিসেবে গড়ে ওঠার পরিপন্থি সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। সামনের নিউজিল্যান্ড সফরে পেস বোলারদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পরিকল্পনার ছক হিসাবেও দুই প্রান্ত থেকে সূচনার দায়িত্ব দুই পেস বোলারের ওপর থাকা উচিত।
জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্টে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মূখ্য ব্যর্থতা ছিল আমাদের মনোযোগবিহীন ব্যাটিং। আজ (বুধবার) মাহমুদউল্লাহ তার ফর্ম যথাসময়ে পুনরুদ্ধার করেছেন। মোহাম্মদ মিঠুন স্বাচ্ছন্দে খেললেও স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করা থেকে নিজেকে নিবৃত্ত করতে না পারলে নির্বাচকদের মন জয় করা মুশকিল হতে পারে।
চতুর্থ দিনে বেশ কিছু বল টার্ন ও অতিরিক্ত বাউন্স করেছে এবং তার পরিমাণ শেষ দিনে আরও বাড়বে। বিশাল রানে পিছিয়ে থাকায় ক্লোজিং ফিল্ডম্যানদের উপস্থিতিতে বাড়তি মানসিক চাপে পড়বে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ চাইবে দিনের প্রথম দুই সেশনের মাঝেই জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনতে।