শুরুটা হোঁচট খেয়েই হয়েছিল বাংলাদেশের। মাত্র তিন বল মোকাবিলা করে তারা হারায় প্রথম উইকেট। এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্টে ফেরা সৌম্য সরকার ২ বলে কোনও রান না করে কেমার রোচের বলে শেন ডাউরিচের শিকার হন।
আশঙ্কাজনক শুরুর ধকল বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে মুমিনুলের দারুণ জুটিতে। একপ্রান্তে বেশ সতর্ক ব্যাট করতে থাকেন ইমরুল, অন্যদিকে রানের গতি বাড়াতে থাকেন মুমিনুল। তাদের প্রথম সেশনে ১০৪ রানের জুটি গড়েন দুজনে। যদিও ইমরুলের বিদায়ে শেষ হয়েছে সকালটা। জোমেল ওয়ারিকানের ওভারস্টেপিং নো বলে ১৬ রানে জীবন পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৪৪ রান করে তারই শিকার হন। ৮৭ বলের ইনিংস খেলে শর্ট লেগে সুনীল আমব্রিসের সহজ ক্যাচ হন ইমরুল।
৩ উইকেটে ২১৬ রানে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ১১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল। কিন্তু শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় তারা।
শেষ সেশনের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন গ্যাব্রিয়েল। ১৬৭ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ১২০ রান করে মুমিনুল তার শিকার হন। ওই ওভারেই মুশফিকুর রহিম ৪ রানে এলবিডাব্লিউ হন। গ্যাব্রিয়েল তার পরের দুই ওভারে মাহমুদউল্লাহ (৩) ও সাকিবকে (৩৪) বোল্ড করেন।
তাইজুল ইসলাম জীবন পান রিভিউ নিয়ে। বিশুর বল তার ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লাগলেও সফরকারীদের জোরালো আবেদনে আউট দেন আম্পায়ার আলীম দার। সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায় রিভিউয়ে। আরেকবার পাকিস্তানি আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত বাতিল হয় তাইজুল রিভিউ নিলে। ১৩ রানে দ্বিতীয়বার জীবন পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩২ রানে দিন শেষ করেন।
নাঈমের সঙ্গে ৫৬ রানের অপরাজিত জুটিতে দিন শেষ করেন তাইজুল। ৬০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গ্যাব্রিয়েল ৪ উইকেট নেন। দুটি পান ওয়ারিকান।