তবে মাঠে ব্যাট হাতে রাজত্ব করলেও সংবাদ সম্মেলনে যথারীতি ধীর-স্থির, নিরুত্তাপ মাহমুদউল্লাহকে খুঁজে পাওয়া গেল, ‘আমার মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছি। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি যেভাবে খেলি, আজ সেভাবে ব্যাট করতে চেয়েছি, শুরু থেকে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও অনেক কষ্ট করে রান করতে হয়েছে আজ।’
দ্বিতীয়টির মতো আজকের সেঞ্চুরির পথেও সঙ্গে ছিলেন টেল এন্ডাররা। সতীর্থদের প্রতি অবশ্য সবসময়ই তার অগাধ আস্থা, ‘তাইজুল-নাঈমের ওপরে আমার আস্থা ছিল, কারণ ওরা ব্যাট করতে পারে। আমি অবশ্য সেঞ্চুরির জন্য তাড়াহুড়া করিনি।’ তবে তিন অঙ্কের কাছাকাছি গিয়ে স্নায়ুর চাপের কথা অস্বীকার করতে পারেননি, “নাইনটিজের ঘরে গিয়ে কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। একবার তো ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে দুই-একটা শট খেলার কথাও ভেবেছিলাম! তখন তাইজুল এসে বললো, ‘ভাই আপনি ভালো ব্যাট করছেন, সময় নিয়ে খেলেন।’ এরপর ধীরে-সুস্থে খেলে সেঞ্চুরি করলাম।”
১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস মাহমুদউল্লাহ উৎসর্গ করলেন মাকে, ‘আজকের সেঞ্চুরিটা আমার আম্মুকে উৎসর্গ করতে চাই। বাবা-মা আমার জন্য অনেক দোয়া করেন। সবার বাবা মা-ই অবশ্য তা করেন।’
মাস ছয়েক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই টেস্টেই বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। একটা ইনিংসে তো নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউটের লজ্জায় পড়েছিল। এবার পাশার দান উল্টে গেছে পুরোপুরি। কেন? মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ‘‘টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে সাকিব আমাদের বলেছিল, ‘আমাদের মনে রাখা উচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা কীভাবে হেরেছিলাম। ওই হার দুটো মনে রাখলে দলের সবাই নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত হবে। সেই ব্যর্থতার কথা ভোলা যাবে না, ঘরের মাঠে প্রত্যেককে নিজের সেরাটা দিতে হবে।’ সাকিবের কথাগুলো আমাদের দারুণ অনুপ্রাণিত করেছে।”
সবশেষে আগামীকাল অর্থাৎ ম্যাচের তৃতীয় দিনের পরিকল্পনা নিয়ে মাহমুদউল্লাহর কথা, ‘আমাদের ভালো জায়গায় বল করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আজ আমরা আরও দুই-তিনটা উইকেট নিতে চেয়েছিলাম। আজ ওদের ইনিংসের প্রথম আধ ঘণ্টায় পাঁচটা উইকেট পড়েছে। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তবে কাল আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে।’