ঝড়ো সেঞ্চুরিতে তামিমের প্রস্তুতি

তামিম ইকবালওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে নেমে বিসিবি একাদশকে দারুণ শুরু এনে দিলেন তামিম ইকবাল। এশিয়া কাপে ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ার পর মাঠে ফিরেই ব্যাটিং ঝড় তুললেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। দুই মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে নেমে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন তিনি।

ইমরুল কায়েসের সঙ্গে মাত্র ৯ ওভারে ৮১ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরির পর শতক ছুঁয়েছেন তিনি ৭০ বল খেলে। ৭৩ বলে ১৩ চার ও ৪ ছয়ে ১০৭ রানে আউট হন এই ওপেনার। ২৩তম ওভারের পঞ্চম বলে স্টাম্পিং হন তামিম। দলীয় ১৯৫ রানে তিনি মাঠ ছাড়েন রোস্টন চেজের শিকার হয়ে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি ছিল তার। এর আগে  ইমরুল ২৫ বলে ৫ চারে ২৭ রানে আউট হন।

তার আগে ওয়ানডে সিরিজের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবির বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩১ রান করে ক্যারিবিয়ানরা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা হয় উইন্ডিজের। কিয়েরন পাওয়েল ও শাই হোপ একশ ছাড়ানো জুটি গড়েন। পাওয়েলকে ৪৩ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাজমুল ইসলাম।

ড্যানের ব্রাভোকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন হোপ। মেহেদী হাসান রানার কাছে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হতেই ছোটখাটো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় ক্যারিবিয়ানরা। ২৪ রানে ফেরেন ব্রাভো। ৮৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৮১ রানের সেরা ইনিংস খেলেন হোপ।

২১৫ রানে ৬ উইকেট হারানো সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়ায় চেজ ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের জুটিতে। ডেথ ওভারে বোলারদের বাজে পারফরম্যান্সে ঝড় তোলেন তারা। অবশেষে ৪৭তম ওভারে অ্যালেনকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রুবেল হোসেন। ৩২ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৪৮ রান করেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান।

চেজ ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সুনীল আমব্রিসের সঙ্গে ৩৫ রানের অপরাজিত জুটিতে দলীয় স্কোর তিনশ পার করেন তিনি। আমব্রিস ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

মাশরাফির বোলিং প্রস্তুতি হয়েছে ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে। তার সঙ্গে ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়া রুবেল ও নাজমুল বিসিবির পক্ষে এদিন দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া দুই উইকেট পান মেহেদী। ক্রিকইনফো