পিটার হ্যান্ডসকম্ব, উসমান খাজা ও শন মার্শের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া স্কোরে জমা করে ২৮৮ রান। চমৎকার বোলিংয়ে ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপকে সুবিধা করতে দেননি অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। রোহিত শর্মার ঝলমলে সেঞ্চুরির পরও সফরকারীরা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২৫৪ রান।
ঝাই রিচার্ডসনের (৪/২৬) ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের সঙ্গে জেসন বেহরেনডর্ফ (২/৩৯) ও মার্কাস স্টোইনিসের (২/৬৬) চমৎকার পারফরম্যান্সে জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারী বোলারদের সামনে মাত্র ৪ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। উইকেট উৎসবের শুরুটা করেছিলেন বেহরেনডর্ফ। মুখোমুখি প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শিখর ধাওয়ান (০)।
ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আউট কোহলি। রিচার্ডসনের প্রথম শিকার হয়ে ভারতীয় ওপেনার ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। একই ওভারে আবারও উইকেট উদযাপন রিচার্ডসনের, অস্ট্রেলিয়ান পেসার এবার তুলে নেন আম্বাতি রাইডুকে (০)। দ্রুত টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দিশেহারা ভারতকে টেনে তোলার কাজ শুরু করেন রোহিত ও নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা মহেন্দ্র সিং ধোনি।
কিন্তু ধোনির আউটে আবারও ধস নামে ভারতের। একপ্রান্ত আগলে রোহিত সেঞ্চুরি তুলে নিলেও হার বাঁচাতে পারেননি তিনি। আউট হওয়ার আগে ভারতীয় ওপেনার ১২৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় খেলে যান ১৩৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। দিনেশ কার্তিক করেছেন ১২ রান, আর ভুবনেশ্বর কুমার অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া শুরুতে অ্যারন ফিঞ্চের (৬) উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়ায় অ্যালেক্স ক্যারি ও খাজার ব্যাটে। ক্যারি ২৪ রান করে আউট হলেও খাজা তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ওয়ান ডাউনে নেমে এই ব্যাটসম্যান খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। তার মতো ফিফটি পূরণ করেন শন মার্শ (৫৪)।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটা ২৮৮ পর্যন্ত যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে অবদান হ্যান্ডসকম্ব ও স্টোইনিসের। হ্যান্ডসকম্ব করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান। আর স্টোইনিস ৪৩ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন বল হাতে দুর্দান্ত দিন পার করা রিচার্ডসন। ক্রিকইনফো