প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানকে ১৮৫ রানে অলআউট করে। ৭৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে তারা। শনিবারের খেলা স্বাগতিকরা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৩৫ রানে। ২১২ রানে এগিয়ে ডিন এলগাররা।
২ উইকেটে ১৭ রানে দিন শুরু করে পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারে ইমাম উল হক ক্রিজের সীমানার বাইরে ভারসাম্য হারালেও তাকে স্টাম্পিং করতে পারেননি কুইন্টন ডি কক। পাকিস্তানি ওপেনার ১৭ ও ২৪তম ওভারে আবারও জীবন পান ক্যাচ ফসকে গেলে।
আগের দিনের নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাস দুইবার জীবন পান গালিতে তেম্বা বাভুমা ও ফার্স্ট স্লিপে হাশিম আমলা ক্যাচ ধরতে না পারায়। এই বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে ৪৭ রানের জুটি গড়েন দুজন।
কাগিসো রাবাদা ৭৮ রানের এই জুটি ভাঙতেই নামে ধস। ৪০ বলে ৮ চারে ৫০ রান করে বিদায় নেন সরফরাজ। অলিভিয়েরের পেসে ১৬ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আজমের ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সেরা ৪৯ রান।
অলিভিয়ের ১৩ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। এই সিরিজে তৃতীয়বার এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি তার। ফিল্যান্ডার ৩টি ও রাবাদা নেন বাকি দুই উইকেট।
পাকিস্তানকে টার্গেট দেওয়ার লক্ষ্যে নেমে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। এরপর আমলাকে নিয়ে বাভুমা (২৩) বিদায় নেন ৪৮ রানের জুটি গড়ে। দিনের বাকি সময়ে আর কোনও উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা। আমলা ও ডি ককের ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লিড দুইশ ছাড়িয়েছে তারা। আমলা ৪২ ও ডি কক ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত করা ফাহিম আশরাফ সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন।