কোলপ্যাক চুক্তি নিয়ে চিন্তিত মরকেল

কোলপাক চুক্তিতে সারের হয়ে খেলছেন মরকেলগত সপ্তাহে কোলপ্যাক চুক্তিতে ইয়র্কশায়ারে যোগ দিলেন ডুয়ানে অলিভিয়ের। কাইল অ্যাবট ও রাইলি রোসো একই পথে হেঁটেছেন দুই বছর আগে। এই চুক্তির কারণে এমন করে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও ক্রিকেটারকে হারাবে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক পেসার মর্নে মরকেল।

এক বছরেরও বেশি সময় পর গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে প্রত্যাবর্তন হয় অলিভিয়েরের। সেঞ্চুরিয়নের ওই ম্যাচে ১১ উইকেট নেন তিনি। তিন ম্যাচের ওই সিরিজে দারুণ ফর্মে ছিলেন এই পেসার। পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয় ওয়ানডেতেও। কিন্তু তাকে ধরে রাখতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কোলপ্যাক চুক্তিতে তিন বছরের জন্য কাউন্টি ক্লাবে যোগ দেন ২৬ বছর বয়সী পেসার। জাতীয় দল থেকে অবসরের কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হয় তাকে।

এখনই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা এনিয়ে তৎপর না হলে আরও ক্রিকেটারকে হারাতে হবে সতর্ক করলেন মরকেল। জাতীয় দলের ক্যারিয়ার শেষে সারের সঙ্গে একই আইনে চুক্তিবদ্ধ এই পেসার বলেছেন, ‘তাদের (সিএসএ) বসতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ নিকট ভবিষ্যতে তারা অনেক খেলোয়াড়কে হারাতে যাচ্ছে। এটা রোধ করা প্রয়োজন তাদের।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৩তম খেলোয়াড় হিসেবে কোলপ্যাক চুক্তি করেছেন অলিভিয়ের। এটা রোধে বোর্ডকে মরকেলের পরামর্শ, “আপনারা কি চুক্তির গঠননীতি আরও ভালো করে করতে পারবেন? ক্রিকেট জীবন শেষে খেলোয়াড়দের জন্য আপনারা কি নিরাপত্তা দিয়েছেন? বিনিয়োগের ব্যাপারে কথা বলেন, কিন্তু খেলোয়াড়রা অবসর নিলে সব ভুলে যান। আমি অনেক খেলোয়াড়ের নাম জানি যাদের পেছনে অনেক বিনিয়োগ আছে। কিন্তু তাদের কোচিংয়ে কিংবা আমাদের অ্যাকাডেমিতে দেখবেন না। তাদের একটা জায়গা দিন এবং বলুন ‘অনেক বছর ধরে তোমাদের জন্য বিনিয়োগ করেছি, আমরা তোমাদের এই ভূমিকায় দেখতে চাই।”

মরকেল আরও যোগ করেছেন, ‘আমি মনে করি এই মুহূর্তে সবার মধ্যে যোগাযোগের মানসিকতার অভাব রয়েছে। এখানে তারা উন্নতি করতে পারে।’

২০০৩ সালে কোলপ্যাক আইন তৈরি হয়। এতে নন-ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়রা স্থানীয় হিসেবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায়। কোলপ্যাক চুক্তিতে থাকাকালে কোনও ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলতে পারে না।