এমন কিছু যে নিউজিল্যান্ডে ঘটতে পারে, তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিজের চোখেকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না তারা। ৪-৫ মিনিট এদিক-ওদিক হলেই হয়তো তারাও হতেন ক্রাইস্টচার্চের নির্মম ট্র্যাজেডির শিকার। ঘোর কাটার পর তামিম-মুশফিকদের মাথায় শুধু একটা বিষয়ই ঘুরেছে, যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকালে নিউজিল্যান্ড ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদের রক্তবন্যার ঘটনার অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও বিমানবন্দরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। চোখের সামনে দেখা ঘটনা দাগ কেটে দিয়েছে তাদের মনে। ভাবতেই তাদের গা শিউরে উঠছে, সংবাদ সম্মেলনটা দীর্ঘ না হলে মসজিদের ভেতর তারাও থাকতেন। এরপর... আর ভাবতে পারেন না মুশফিকরা। ক্রাইস্টচার্চ বিমানবন্দরে ছাড়ার সময়ও শঙ্কার মেঘে ঢাকা তাদের মন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৯ জন ইসলাম ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। হামলার স্থান থেকে ৫০ গজ দূরে ছিলো তামিম-মুশফিকদের বাস। তৃতীয় টেস্টের ভেন্যু হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নূর মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
অনুশীলন শেষে ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন দলের কয়েকজন। সেখানে তারা একটু আগে মসজিদে ঢুকলেই ঘটে যেতে পারতো স্মরণকালের নৃশংসতম ঘটনা। সংবাদ সম্মেলনের জন্য মসজিদে যেতে দেরি হওয়াতেই মূলত বেঁচে গেছেন মুশফিক-তামিমরা। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক নারী বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সতর্ক করেন গোলাগুলির কথা জানিয়ে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা তখন দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। ওখান থেকে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ নিরাপত্তায় নভোটেল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।