ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের সবাই একসঙ্গে ফিরলেও সংবাদ সম্মেলনে শুধু এলেন দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট। খুব বেশি কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ।
সবার আগে বিমানবন্দর ছেড়েছেন তামিম ইকবাল। নিজের গাড়িতে ওঠার আগে এক পলকের জন্য দেখা গেছে তাকে, বোঝাই যাচ্ছিল গত দুইদিনে কী ঝড়টাই না গেছে তার উপর দিয়ে। ততক্ষণে মাহমুদউল্লাহ সংবাদ মাধ্যমে কথা শেষ করেছেন। আরেকটু আগে মসজিদে গেলে কী হতে পারতো, সেটা ভাবতেই আবারও শিউরে উঠেলেন তিনি। জীবন নিয়ে ফিরতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান বলেছেন অধিনায়ক।
মুশফিকের বাবা মাহবুব হানিফ ছেলেকে নিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর মুশফিকের পরিবার দুই চোখের পাতা এক করতে পারেননি। গোটা দলের দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কেটেছে তাদের। ছেলেদের কাছে পেয়ে বুক থেকে যেন অনেক বড় পাথর নেমে গেছে তার, 'ঘটনার পর থেকে প্রতিটি মুহূর্ত অস্বস্তিতে কাটিয়েছি। আমরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। মুশফিক তো ফোন করেই কান্নাকাটি করেছে। ওতো এমনিতেই নরম মনের, তাই এমন পরিস্থিতে ভেঙে পড়েছে। আজকে দেখে একটু স্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমাদের ছেলেদের কারও মনের অবস্থাই ভালো নয়। সবাইকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নিয়েছি। এই মুহূর্তে আমার চেয়ে সুখী কেউ নেই।'
ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের জন্য রাত ১০টা থেকেই বিমান বন্দরে লম্বা লাইন সাংবাদিকদের। এত সাংবাদিক ছিল যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। যদি ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর বিমানবন্দরেও কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু ছাপিয়ে জয় হয়েছে আবেগেরই।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন ও রবিউল ইসলাম