আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক
প্রিমিয়ার লিগে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এনামুল হক। তার নতুন কীর্তিতে প্রাইম ব্যাংক ১৬ রানে হারিয়েছে আবাহনীকে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে করেছিল ৩০২ রান। কঠিন লক্ষ্যটা টপকাতে পারেনি আবাহনী, ৪৮.৫ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে পেয়েছে প্রথম হারের তিক্ততা।
ফতুল্লায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল ১২৮ বলে করেন ১২০ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ী তার ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ২ ছক্কায়। তার সঙ্গে অভিমন্যু ঈশ্বরণ করেন ৮৫, আর আরিফুল হক হার না মানা ৫১ রানের ইনিংস খেললে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ৩০০ ছাড়ায়।
প্রাইম ব্যাংকের হারানো ৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন আবাহনীর পাঁচ বোলার- রুবেল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল ইসলাম, সৌম্য সরকার ও সানজামুল ইসলাম।
৩০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওয়াসিম জাফর (৯৪), নাজুমল হোসেন শান্ত (৭৩) ও মোসাদ্দেক হোসেনের (৫২) হাফসেঞ্চুরিতেও হার এড়াতে পারেনি আবাহনী। প্রাইম ব্যাংকের নাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও আল-আমিন প্রত্যেকে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
মোহামেডান-শেখ জামাল
বিকেএসপিতে শেখ জামাল শেষ বলে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে আবাহনীর বিপক্ষে। মোহামেডান ৪৯.১ ওভারে অলআউট হয় ২৪০ রান, এই লক্ষ্য এনামুল হকের শেষ বলের ছক্কায় জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডানের ওপেনার আব্দুল মজিদ পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। তার কাছ থেকে আসে ৫২ রান। ৪৯ রান করেন চতুরঙ্গা ডি সিলভা, আর ৪৪ রান আসে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। শেখ জামালের সবচেয়ে সফল বোলার সালাউদ্দিন শাকিল ৪১ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
২৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের (৭৪) হাফসেঞ্চুরিতে শক্ত ভিত পায় শেখ জামাল। যদিও মোহামেডান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারায় শেষ বলে শেখ জামালের দরকার হয় ৫ রান। আলাউদ্দিন বাবুর করা শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেখ জামালকে নাটকীয় জয় এনে দেন এনামুল। তিনি অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন অবশ্য ইমতিয়াজ।
রূপগঞ্জ-গাজী গ্রুপ
মিরপুরে গাজী গ্রুপকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে গাজী গ্রুপ ২৫০ রান করলে মেহেদী মারুফ ও জাকের আলীর সেঞ্চুরিতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি গাজী গ্রুপের ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ৮৬ রান আসে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পারভেজ রসূলের ব্যাট থেকে। ৪৮ রান করেন ইমরুল কায়েস। সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মুক্তার আলী।
২৫১ রানের লক্ষ্যটা সহজেই টপকে গেছে রূপগঞ্জ মেহেদী মারুফ ও জাকের আলীর অপরাজিত শতকে। মারুফ ১৩৭ বলে খেলেন হার না মানা ১৩৭ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ১২ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কার মার। আর জাকের আলী অপরাজিত থাকেন ১০৭ রানে। ১২৬ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১৩ চার ও ১ ছক্কায়। ম্যাচসেরা হয়েছেন মারুফ।