উদানা ঝড়ের পরও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

ডেল স্টেইনের উইকেট উদযাপনওয়ানডে সিরিজে দেখিয়েছিলেন চাইলে শ্রীলঙ্কা তাকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিতে পারে। ইসুরু উদানা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও তার ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন। যদিও ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। সেঞ্চুরিয়নের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ১৬ রানে জিতে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।

তাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ হারে রেখেই ২-০তে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। রিজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডের ডুসেনের হাফসেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে করে ১৮০ রান। জবাবে উদানার ৪৮ বলে হার না মানা ৮৪ রানের ইনিংসের পরও শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে করতে পারে ১৬৪।

নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় বিশ্রাম নেওয়ায় অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া জেপি দুমিনির জন্য ম্যাচটি ছিল চ্যালেঞ্জের। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের পারফরম্যান্সে চ্যালেঞ্জটা দারুণভাবে উতরে গেলেন তিনি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এইডেন মারক্রাম (৩) শুরু ফিরলেও হেনড্রিকস ও ফন ডের ডুসেনের জুটিতে শক্ত ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দুজনই পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। হেনড্রিকস ৪৬ বলে ৯ বাউন্ডারিতে করেন ৬৫, আর ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ফন ডের ডুসেন ৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় করেন ৬৪ রান। এরপর অধিনায়ক দুমিনি ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। ডেভিড মিলার অপরাজিত থাকেন ৯ রানে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা, ইসুরু উদানা ও আকিলা ধনাঞ্জয়া।

১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটসম্যানই সুবিধা করতে পারেননি। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থতায় মুখ লুকিয়েছেন, সেখানে লোয়ার অর্ডারে উদানা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ব্যাট করতে হয়। এই ব্যাটসম্যানের ইনিংসেই মূলত হারের ব্যবধান কম হয়েছে লঙ্কানদের। শেষ দিকে ৪৮ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে।

প্রোটিয়াদের সবচেয়ে সফল বোলার ক্রিস মসির। এই পেসার ৩২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার ডেল স্টেইন ও তাবরেজ শামসির।। ক্রিকইনফো