বিনা টিকিটেও আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে গ্যালারি ফাঁকা!

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১০০ জন দর্শকও ছিল নাঘরোয়া ফুটবলে বহুদিন ধরে দর্শকখরা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই অবস্থা এখন। সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ও মোহামেডান। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দু্ই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচে ১০০ জন দর্শকও ছিল কিনা সন্দেহ! অথচ ম্যাচটি দেখতে টিকিটের প্রয়োজন ছিল না। গ্যালারি খুলে দেওয়া হলেও দর্শক খুঁজেই পাওয়া যায়নি!

এক সময় আবাহনী-মোহামেডান লড়াইয়ের উত্তেজনা ছিল অন্যরকম। মানুষ ভিড় করতো মাঠে, প্রিয় দলের সাফল্যে উল্লাসে মেতে উঠতো, ব্যর্থতায় ভেঙে পড়তো হতাশায়। চার-ছক্কা বা উইকেট পতনের উচ্ছ্বাস ঢেউ তুলতো গ্যালারিতে। ঝামেলা এড়াতে দুই দলের সমর্থকদের জন্য ছিল আলাদা গ্যালারি।

সে সব দিন আর নেই। এখন দেশের দুই জনপ্রিয় দলের লড়াইয়ের উত্তেজনা শুধু ক্রিকেটার আর কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ওদিকে গ্যালারি একেবারে খাঁ খাঁ করছে!

গ্যালারি খুলে দেওয়া হলেও দর্শক পাওয়া যায়নিএমন দর্শকখরায় ভীষণ হতাশ আবাহনীর ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। ম্যাচ শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি আগেও আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ খেলেছি। তখন মোটামুটি দর্শক থাকতো। কিন্তু এখন দর্শক প্রায় চোখেই পড়ে না। যত বেশি দর্শক থাকবে, আমাদেরও খেলতে তত ভালো লাগবে। শুধু আবাহনী-মোহামেডান নয়, আমি চাই সব ম্যাচেই যেন দর্শক মাঠে আসে।’

৯৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে জহুরুলই আবাহনীর জয়ের নায়ক। যে ক’জন সমর্থক ছিলেন, তাদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যারা মাঠে ছিলেন, তারা আবাহনীর হয়ে চিৎকার করেছেন। তাদের চিৎকার শুনে খুব ভালো লাগছিল।’ একটুর জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও আবাহনীর সাফল্যে তিনি খুশি, ‘আমি সেঞ্চুরি মিস করেছি তো কী হয়েছে, আবাহনী তো জিতেছে। সেজন্য আমি খুব খুশি।’

ছবি: সংগৃহীত