মোহামেডান-বিকেএসপি
হারলেই সুপার লিগ শঙ্কায় পড়ে যেত মোহামেডানের। তখন সামনে আসতো অনেক সমীকরণ। তবে তার আর দরকার পড়েনি, জিতে ডিপিএলের সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। বৃহস্পতিবার বিকেএসপিকে ১ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
ফতুল্লায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বিকেএসপি আমিনুল ইসলামের (৬০) হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ২৪৯ রান। জবাবে অভিষেক মিত্র (৬৫) ও লিটন দাসের (৫৩) হাফসেঞ্চুরিতে ১ বল আগে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের সঙ্গে সুপার লিগ নিশ্চিত করে মোহামেডান।
বিকেএসপি ৪২ রানে হারায় প্রথম ব্যাটসম্যান প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে (১৪)। আরেক ওপেনার ফরহাদ আহমেদ করেন ৩২ রান। এরপর আমিনুল ইসলাম ও শামীম হাসান গড়েন বড় জুটি। শামীম ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করলেও আমিনুল তুলে নেন ফিফটি। ৬০ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ৫ বাউন্ডারিতে। এছাড়া অবদান রেখেছেন অধিনায়ক আকবর আলী ও পারভেজ হোসেন, দুজনই খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস।
মোহামেডানের সবচেয়ে সফল বোলার রাহাতুল ফেরদৌস। ৩৭ রানে তার শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন রজত ভাটিয়া।
২৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইরফান শুক্কুর স্কোরে জমা করেন ৭৭ রান। ইরফান ৪১ রানে ফিরলেও লিটন তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। এই ওপেনার ৫৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৫৩ রান।
শুরুর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন অভিষেক মিত্র ও রকিবুল হাসান। ফর্মের তুঙ্গে থাকা রকিবুল করেন ৩৫ রান। আর অভিষেক খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ২ চারের সঙ্গে ২ ছক্কার মার। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে এলোমেলো হয়ে যায় সব।
মোহাম্মদ আশরাফুল (৩) আবারও ব্যর্থ। অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী (০), রজত ভাটিয়া (১৫) ও সোহাগ গাজী দ্রুত ফেরায় ম্যাচের দৃশ্যপট যায় পাল্টে। শেষ পর্যন্ত রাহাতুল ফেরদৌস (১৪), কাজী অনিক (১৩*) ও সাকলাইন সজীবের (৫*) ছোট তবে কার্যকরী ইনিংসে ১ বল আগে জয় নিশ্চিত করে মোহামেডান। শ্বাসরুদ্ধকর এই জয়ে ম্যাচসেরা হাফসেঞ্চুরিয়ান অভিষেক।
বিকেএসপির হাসান মুরাদ চমৎকার বল করেছেন, ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নওশাদ ইকবাল ও তানজীম হাসান।
প্রাইম ব্যাংক-গাজী গ্রুপ
সুপার সিক্সে জায়গা পেতে হলে জয় ছাড়া পথ খোলা ছিল না গাজী গ্রুপের। তবে প্রাইম ব্যাংককের বিপক্ষে হেরে গেছে তারা। বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাংকের জয় ৩৪ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংক নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ২০১ রান। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে করেছেন নাঈম হাসান ও আরিফুল হক। গাজী গ্রুপের সঞ্জীত সাহা ৩০ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ ও কামরান ঘুলাম।
২০২ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৫.২ ওভারে গাজী গ্রুপ অলআউট ১৬৭ রানে। ওপেনার মাইশুকুর রহমান ৭৪ রানের ইনিংস খেললেও বাকি ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান শামসুর রহমানে কাছ থেকে। প্রাইম ব্যাংকের জয়ের নায়ক নাঈম হাসান ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।
খেলাঘর-শাইনপুকুর
মিরপুরে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে ১৫ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ৪৮.২ ওভারে খেলাঘর অলআউট হয় ১৯০ রানে। জবাবে ৪১ ওভারে শাইনপুকুর ৬ উইকেটে ১৬৫ রান করলে শুরু হয় বৃষ্টি। তাতে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে তারা পায় ১৫ রানের জয়।