আরও বড় ইনিংস খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য

বিকেএসপিতে ঝড় তুলেছিলেন সৌম্যআসল সময়ে জ্বলে উঠলেন সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের আগ দিয়ে তার ব্যাট হাসলো। ছন্দে ফেরার আভাস দিয়ে আবাহনী লিমিটেডের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখার আশা বাঁচিয়ে রাখলেন তিনি। তার ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারিয়ে শীর্ষে আবাহনী। শিরোপা হাতছাড়া না করতে চাইলে ম্যাচটি জিততেই হতো তাদের, এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ম্যাচে পরিকল্পনামতো ভালো খেলেছেন সৌম্য। কিন্তু আরও বড় ইনিংস খেলতে চেয়েছিলেন তিনি।

আবাহনীকে ১০২ রানে জেতাতে ১০৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৭৯ বলের এই ইনিংসে ১৫টি চার ও দুটি ছয় মারেন তিনি। স্কোরবোর্ড বড় করার ইঙ্গিত দিয়ে ম্যাচটা শুরু হয়। যাতে সবচেয়ে অবদান সৌম্যর। জহুরুল ইসলামের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১৬৯ রান তুলে বিদায় নেন তিনি।

ফর্মে না থাকলেও লিগে নিয়মিত ছিলেন সৌম্য। আবাহনীর হয়ে নিজের ১২তম ম্যাচে এসে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার ওপর আস্থা রাখায় টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞ সৌম্য, ‘প্রিমিয়ার লিগে যত ম্যাচ খেলেছি, তার কোনোটায় আমি ভালো করিনি। তারপরও টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে খেলিয়েছে। আজ ছিল বড় ম্যাচ, চিন্তা ছিল এমন ম্যাচে বড় কিছু করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এরকম পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম।’

বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান না থাকায় কষ্ট পাচ্ছিলেন সৌম্য, ‘চাপ বলতে নিজের কাছে খারাপ লাগছিল। রান করতে পারছিলাম না। অথচ জাতীয় দলের হয়ে রান ছিল। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করছি, কেন ভুল করছি!’

ভুলগুলো শুধরে নিতে কাজ করছেন সৌম্য। এখন চিন্তা সেটাই। তবে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার মতো একটা ইনিংস খেলে স্বস্তিতে ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু আরও একটু বড় ইনিংস খেলতে পারলে খুব ভালো লাগতো সৌম্যর, ‘আজ হয়তো শুরুটা ভালো হয়েছিল। চেষ্টা করেছি বড় একটা ইনিংস খেলার। তারপরও আগেই আউট হয়ে গিয়েছি, ২৫তম ওভারে। যদি ক্রিজে থাকতে পারতাম তাহলে আরও বড় ইনিংস খেলতে পারতাম।’