রয় ঝড়ে পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে সিরিজ ইংল্যান্ডের

সেঞ্চুরির পর জেসন রয়কোনও স্কোরই কিছু মনে করছে না ইংল্যান্ড। পাকিস্তান যত রানই করুক, জয়টা হবে ইল্যান্ডের— চলতি সিরিজে এটা যেন অঘোষিত ‘নিয়ম’। শুক্রবার জেসন রয় ঝড়ে যেমন আরেকটি রানের পাহাড় পেরিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট ব্রিজের চতুর্থ ওয়ানডে ৩ উইকেটে জিতে সিরিজও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।

রয়ের সেঞ্চুরিতে বৃথা গেছে বাবর আজমের শতক। বাবরের ১১৫ রানের চমৎকার ইনিংসে ওপর ভর দিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে পাকিস্তান স্কোরে জমা করে ৩৪০ রান। রয়ের ঝড়ো ১১৪ ‍রানের সঙ্গে বেন স্টোকসের হার না মানা ৭১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। টানা তৃতীয় জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-০তে এগিয়ে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।

এবারের বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর শুরুর আগে সেখানে রীতিমত রানের বৃষ্টি ঝরছে। চলতি ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয়নি, বাকি তিনটির সবক’টিতে ৩০০ ছাড়ানো স্কোর গড়েছে দুই দল। বোঝাই যাচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপে কতটা দাপট দেখাতে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা।

ট্রেন্ট ব্রিজের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই খায় ধাক্কা। কনুইয়ে আঘাত পেয়ে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমাম-উল-হক। তার প্যাভিলিয়নে ফেরার পর মাঠে নামা বাবরকে নিয়ে রান বাড়িয়ে নেন আরেক ওপেনার ফখর জামান। তারা গড়েন ১০৭ রানের জুটি।

বাবর আজমের সেঞ্চুরি উদযাপনহাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফখর ৫৭ রানে ফিরলেও বাবর তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। ১১২ বলে খেলে যান তিনি ১১৫ রানের ঝলমলে ইনিংস, যাতে ছিল ১৩ বাউন্ডারির সঙ্গে এক ছক্কার মার। একাদশে ফিরে মোহাম্মদ হাফিজও বিশ্বকাপে আগে ঝালিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। ৫৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস।

হাফিজের মতো এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা শোয়েব মালিক ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৪১ রান। এরপর সরফরাজ আহমেদের অপরাজিত ২১ রানে ভর দিয়ে ৩৪০ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।

পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দাপটের সামনে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার টম কারান। এই পেসার ৭৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি উইকেট শিকার মার্ক উডের।

৩৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জেসন রয় ও জেমস ভিন্স যোগ করেন ৯৪ রান। ভিন্স ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৪৩। আগের দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি রয়, তবে এই ম্যাচে আর ভুল করেননি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূরণ করে জয়ের ভিত গড়ে দেন ইংল্যান্ডকে। ৮৯ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় এই ওপেনার খেলে যান ১১৪ রানের কার্যকরী ইনিংস।

রয়ের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ৬৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় হার না মানা ৭১ রানের ইনিংস খেলে ইংলিশদের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন বেন স্টোকস। এরপরও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন সেঞ্চুরিয়ান রয়। শেষ দিকে কারানের ৩১ রানের ইনিংসটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার ইমাদ ওয়াসিম ৬২ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। এই স্পিনারের মতো ২ উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ক্রিকইনফো