বিশ্বকাপ উপভোগ করতে চান দু প্লেসি

সতীর্থদের সঙ্গে দু প্লেসিদক্ষিণ আফ্রিকার গায়ে ‘চোকার্স’ শব্দটা ভালোভাবেই লেগে আছে। ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপে খেলতে নেমে সেমিফাইনালের গেরো কাটাতে পারেনি তারা কখনও। গত দুইবার নিউজিল্যান্ডের কাছে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে হেরে যায় প্রোটিয়ারা। তবে এবার আর কোনও প্রত্যাশা নয়, বিশ্বকাপটা শুধুই উপভোগ করতে চান ফাফ দু প্লেসি।

বিশ্বকাপ শুরু হতে আর ১০ দিন বাকি। টুর্নামেন্টের জন্য কোমড় বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু কোনও ধরনের বাড়তি চাপ নয়, নির্ভার তারা। দলের কাছ থেকে অসাধারণ কিছু প্রত্যাশা করেন না অধিনায়ক দু প্লেসি। এই মৌসুমের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিশ্বকাপে লড়াই করার কথা বললেন তিনি।

সাফল্যের মন্ত্র হিসেবে দলকে টুর্নামেন্টে উপভোগ্য ক্রিকেট খেলতে পরামর্শ দিচ্ছেন দু প্লেসি। আর এই মৌসুমে ১৩ ওয়ানডের ১১টি জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান তিনি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ২-১ এ সিরিজ জয় অনুপ্রাণিত করছে এই দলকে।

ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে দু প্লেসি বলেছেন, ‘আগের বিশ্বকাপগুলোতে আমরা অতিমানবীয় কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভাবতাম আমাদের আরও বিশেষ কিছু করতে হবে, স্বাভাবিকের বাইরে কিছু করা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা যথেষ্ট ভালো করতে পারতাম না। অতীতে সবসময় সঠিক কিছু পাইনি, বিশ্বকাপে সেরাটা খেলতে পারিনি কারণ আমরা অনেক বেশি চাপ নিতাম। এবার আমরা ক্রিকেট উপভোগ করায় মনোযোগ দিবো।’

গত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে চার উইকেটে হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দু প্লেসি সহ ওই দলের ৭ জন খেলোয়াড় এবার যাচ্ছেন ইংল্যান্ডে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপও তিনি খেলেছেন; সঙ্গে ছিলেন হাশিম আমলা, ইমরান তাহির, জেপি দুমিনি ও ডেল স্টেইন। এই অভিজ্ঞ দল পেলেও খুব বেশি আশার কথা শোনালেন না দু প্লেসি, ‘আমরা বিশ্বাস করতাম, বিশ্বকাপ জিততে হলে সত্যিই বিশেষ কিছু করতে হবে, মানে হলো স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি কিছু। কিন্তু কথাটা সত্যি নয়। আমরা যেটা ধারাবাহিকভাবে করেছি, যেভাবে প্রতিপক্ষকে হারিয়েছি সেভাবে খেললে কাজ হবে। কেউ ৫০ বলে সেঞ্চুরি করলে কিংবা ২০ রানে ৭ উইকেট নিলেই সেই দল বিশ্বকাপ জিতবে সেটা কিন্তু নয়।’ ক্রিকইনফো