কেপটাউনে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ফিরে প্রথম শতকের দেখা পেলেন স্মিথ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আরেক ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটও হেসেছে। দুজনের দারুণ পারফরম্যান্সে আগে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া করে ৯ উইকেটে ২৯৭ রান। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে ২৮৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ৪৩ রান করে ওয়ার্নার আউট হলেও দলের হাল ধরেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা স্মিথ। শন মার্শ (৩০) লিয়াম প্লাঙ্কেটের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার পর উসমান খাজার (৩১) সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এরপর কেবল অ্যালেক্স ক্যারের কাছ থেকে উপযুক্ত সঙ্গ পান স্মিথ। তার সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ার পথে ঝড় তোলেন ক্যারে। ১৪ বলে ৪টি চারে ৩০ রান করে টম কারানের দুর্দান্ত ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
১০২ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ১১৬ রান করে ইংল্যান্ডের অষ্টম শিকার হন স্মিথ। তার দারুণ এই ইনিংস শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়নি। কারানকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন সাবেক অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৯ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন প্লাঙ্কেট।
এরপর মঈন আলীর (২২) সঙ্গে ক্রিস ওকস (৪০) প্রতিরোধ গড়ে স্বস্তি ফেরান। কিন্তু তাদের ৪২ রানের এই জুটি ভাঙার পর ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৪৬ রানের ব্যবধানে তাদের শেষ ৫ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান বোলাররা।
শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। প্রথম বলেই প্লাঙ্কেটকে ফেরান মার্কাস স্টোইনিস। তৃতীয় বলে জোফরা আর্চারকে রান আউট করে অস্ট্রেলিয়া শেষ উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জেসন বেহরেনডোর্ফ ও কেন রিচার্ডসন দুটি করে উইকেট নেন।