‘ফেভারিট’ ইংল্যান্ডের সামনে ‘আন্ডারডগ’ দক্ষিণ আফ্রিকা

অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে ইংল্যান্ড (ছবি: রয়টার্স)শীর্ষ র‌্যাংকিংধারী ইংল্যান্ড মুখোমুখি হচ্ছে তিন নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ। বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, মাছরাঙা ও স্টার স্পোর্টস ১।

অবশেষে শেষ হচ্ছে ক্ষণ গণনার দিন। সব বিশ্লেষণ-আলাপের সমাপনী টেনে এবার শুরু হচ্ছে আসল লড়াই। ২০ বছরে প্রথম বিশ্বকাপ মঞ্চস্থ করতে যাওয়া ইংল্যান্ডে আজ উৎসব শুরু হওয়ার পালা। অনেক প্রত্যাশা আর আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার এই ম্যাচ দিয়ে।

শক্তিতে আর আত্মবিশ্বাসে এই ম্যাচে সবচেয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে তো তাদের দলকেই বলা হচ্ছে এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা। তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ শুরু জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোকে দিয়ে। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের মালিক তারা। ব্যাটিং লাইনকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে এউইন মরগান ও জো রুটের উপস্থিতি। ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাত জস বাটলার আছেন বিধ্বংসীরূপে।

বোলিং লাইনে যুক্ত হয়েছেন তরুণ জোফরা আর্চার। লিয়াম প্লাঙ্কেট ও ক্রিস ওকসদের সঙ্গে গতির ঝড় তুলতে প্রস্তুত তিনি। শুধু শক্তিশালী দলই নয়, এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছে আরও কয়েকটি কারণ। গত বিশ্বকাপে গ্রুপে বিদায়ের পর থেকে মাঠে দুর্দান্ত তারা। ১৯ সিরিজের ১৫টি জিতেছে, টুর্নামেন্টও নিজেদের মাঠে। সব মিলিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড।

রাবাদার ওপর আস্থা রাখছে দক্ষিণ আফ্রিকাবিশ্বকাপে এবার আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ এবং মানসম্মত। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ইংল্যান্ডের শুরুর দিকের বোলারদের দমিয়ে রাখতে বেশ উপযুক্ত। ম্যাচ বিজয়ীর ভূমিকাও মাঝেমধ্যে রাখেন তিনি। তার সঙ্গে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা ও অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি আছেন।

বোলিং ইউনিটে প্রোটিয়ারা ডেল স্টেইনকে পাচ্ছে না এই ম্যাচে। তবে ফিরছেন আইপিএলের দ্বিতীয় শীর্ষ উইকেট শিকারি কাগিসো রাবাদা। লুঙ্গি এনগিদি ও আন্দিলে ফেলুকাও থাকবেন তার সঙ্গে পেস আক্রমণে। আর চেন্নাই সুপার কিংসকে আইপিএল ফাইনালে তোলা লেগস্পিনার ইমরান তাহির আছেন ফর্মের তুঙ্গে, সর্বোচ্চ উইকেট ছিল তার।

বিশ্বকাপে দুই দল মুখোমুখি লড়াইয়ে সমানে সমান। এর আগে ছয়বার দেখা হয়েছে তাদের। যেখানে দুই দলই জিতেছে তিনটি করে ম্যাচ। সবশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ২-১ এ জিতেছে ইংল্যান্ড। এটাও ফেভারিট হিসেবে এগিয়ে রাখছে স্বাগতিকদের। কিন্তু এই যাত্রায় তাদের মুখোমুখি ম্যাচ তো মাত্র একটিই, তাও আবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। দুই দলই চাপ কতটা কাটিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষা।