১৪ মাস পর ওয়ার্নার জাতীয় দলের জার্সি পরেন এই বিশ্বকাপে। আগের তিন ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি ছিল তার আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু ঠিক স্বরূপে ছিলেন না তিনি। ধীর ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন এই অজি ওপেনার। তবে স্বরূপে ফিরলেন বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৫১ বলে ফিফটির পর ১০২ বলে নতুন জীবনের ‘প্রথম সেঞ্চুরি’ করলেন ওয়ার্নার।
তার এই স্বস্তিদায়ক ইনিংস পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৪১ রানের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি জানান তার অনিশ্চয়তায় ঘেরা গত এক বছরের কথা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের সেঞ্চুরিকেই ক্যারিয়ারের শেষ মনে করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওই ইনিংসে শতক উদযাপনটাই জীবনের শেষ ভেবেছিলেন কিনা প্রশ্নে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। এই ভাবনা আমার মনের মধ্যে সবসময় হয়েছে।’
তবে ঘুরে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে এই ভাবনা থেকে, ‘ওটাই আমাকে ফিট থাকতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যত বেশি সম্ভব রান করার এবং গ্রেড ক্রিকেট আমি সত্যিই উপভোগ করেছি। আমি মনে করি, এই কঠিন সময় উতরে যাওয়া এবং নিজেকে সুসংগঠিত করাই ছিল আন্তর্জঅতিক ক্রিকেটে ফেরার সঠিক পথ। ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই এই শতক আমার জন্য দারুণ। অনেক দিন পর এলো।’
ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকার সময়ে আলোচনার বাইরে ছিলেন ওয়ার্নার। এই সময়ে স্ত্রী ক্যান্ডিসকে পাশে পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে অ্যাথলেট স্ত্রীকে কৃতিত্ব দিলেন সাবেক সহ অধিনায়ক, ‘ডাক পেলে আমি সবসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছা আমার ছিল। আমাকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছে আমার স্ত্রী ও ছোট্ট দুই সন্তান। বাড়িতে আমার পরিবারের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পেয়েছি। আমার স্ত্রী ছিল অসাধারণ- সে অবিশ্বাস্য, খুব গোছালো এবং নিঃস্বার্থ একজন।’
দীর্ঘ এক বছরে ফিটনেস ধরে রাখার পেছনে ক্যান্ডিসের ভূমিকার কথা জানালেন ওয়ার্নার, ‘অনেক কৃতিত্ব তার, সে একজন শক্তিশালী নারী। প্রথম ১২ সপ্তাহে সে আমাকে বিছানা থেকে টেনে তুলেছে এবং আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে সহায়তা করেছে। আমার ফিটনেস ধরে রাখতে ও কঠোর পরিশ্রম করাতে সে আমাকে সবসময় উদ্বুদ্ধ করেছে।’