নিজের প্রথম ওভারে রহমত শাহকে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। এরপর পঞ্চম ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন বাঁহাতি স্পিনার। হাফসেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকা অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবকে প্রথম বলে লিটন দাসের চমৎকার ক্যাচ বানান। ৭৫ বলে ৩ চারে ৪৭ রান করেন আফগান ওপেনার।
ক্রিজে নেমে দুই বল পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের কাছে বোল্ড হন মোহাম্মদ নবী। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
মোসাদ্দেকের বলে দ্বিতীয় উইকেট
বল হাতে নিয়ে সাকিব আল হাসান আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট নেন। এরপর লম্বা সময় ধরে প্রতিরোধ গড়েন গুলবাদিন নাইব ও হাসমতউল্লাহ শহীদী। তাদের জুটি অবশ্য লম্বা হয়নি।
দুজনের জুটি ৩০ রানে ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ। ২১তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের অফ স্পিনে ভারসাম্য রাখতে না পেরে মুশফিকুর রহিমের কাছে স্টাম্পিং হন হাসমত। ১১ রান করে বিদায় নেন তিনি।
বল হাতে নিয়েই সাকিবের উদযাপন
গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহের উদ্বোধনী জুটি সতর্ক হয়ে খেলেছে প্রথম ১০ ওভার। মাশরাফি মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান ভাঙতে পারেননি তাদের জুটি। তবে সাকিব আল হাসান ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়েই বাজিমাত করেন। নিজের পঞ্চম বলে রহমত শাহকে ২৪ রানে তামিম ইকবালের ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার। ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।
মুশফিক-সাকিবের ফিফটিতে বাংলাদেশের ২৬২ রান
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে আফগানিস্তানকে ২৬৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
সাউদাম্পটনে স্পিন দিয়েই বাংলাদেশকে কাবু করতে চেয়েছিল আফগানিস্তান। তাদের স্পিনার মুজিব উর রহমান তাদের চাওয়া পূরণ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশও তাদের ঘূর্ণি ভালোভাবে সামাল দিয়েছে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের হাফসেঞ্চুরিতে। মুশফিক করেন ৮৩ রান। সাকিব ৫১ রানে আউট হন। এছাড়া তামিমের ৩৬ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ৩৫ রান কার্যকরী অবদান রাখে।
এই বিশ্বকাপে রোজ বোল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে সর্বোচ্চ রানই সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের স্পিন ত্রয়ী মুজিব, মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানকে মোকাবিলা করে ৭ উইকেটে ২৬২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে তারা।