নিশাম বীরত্বে কিউইদের ২৩৭

বিপর্যয়ে জিমি নিশাম খেলেছেন হার না মানা ৯৭ রানের ইনিংসশাহীন আফ্রিদির তোপে এলোমেলো নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে অজেয় থাকা দলটি ব্যাটিং ধসে কত দ্রুত অলআউট হয়, সেই হিসাব কষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও জিমি নিশাম বীরত্বে লড়াই করার মতো স্কোর দাঁড় করিয়েছে কিউইরা। তার সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংসের সঙ্গে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের কার্যকরী হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউইরা ৬ উইকেটে করেছে ২৩৭ রান।

এজবাস্টনের আউটফিল্ড ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পর শুরু হয় ম্যাচ। কিউইদের বিপক্ষে বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই ঝড় তোলে বোলিংয়ে। শুরুটা করেছিলেন এবারের আসরে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ আমির। এরপর শাহীন আফ্রিদি আরও ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হলে মাত্র ৮৩ রানে কিউইরা হারায় টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে।

ওই জায়গা থেকে নিউজিল্যান্ডকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিয়েছে নিশাম-ডি গ্র্যান্ডহোমের ষষ্ঠ উইকেটে গড়া ১৩২ রানের জুটি। ডি গ্র্যান্ডহোম ৭১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৬৪ রানে আউট হলেও নিশাম থাকেন অপরাজিত। একটুর জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে ১১২ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজানো তার হার নামা ৯৭ রানের ইনিংসটির গুরুত্ব নিঃসন্দেহে সেঞ্চুরির চেয়েও বেশি।

নিশামের ইনিংসটি এসেছে কিউইদের টপ অর্ডার পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার পর। আমিরের শিকার হয়ে মাত্র ৫ রান করে মার্টিন গাপটিলের আউটের পর শাহীনের তোপে দাঁড়াতেই পারেননি কলিন মুনরো (১২), রস টেলর (৩) ও টম ল্যাথাম (১)।

বিপর্যয়ের মুহূর্তে দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও শাদাব খানের বলে উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে ধরা পড়ে কেন উইলিয়ামসনকে ফিরতে হয় ৪১ রানে। ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরই শুরু নিশাম-ডি গ্র্যান্ডহোমের প্রতিরোধ।

নিউজিল্যান্ডকে অল্পতে আটকে রাখার পথে শাহীন আফ্রিদি ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আমির ও শাদাব।