গ্রামীণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত মোস্তাফিজের বৌভাতে সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এবং আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় ২ হাজার অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়। অতিথিদের আপ্যায়নে ছিল খাসির বিরিয়ানী, গরুর মাংস, দই ও কোকাকোলা।
এক সপ্তাহ আগে মোস্তাফিজের বাড়ির সামনে বড় গেটে আলোকসজ্জা করা হয়। উঠোনে সামিয়ানা টানানো হয়। কাটার মাস্টারের গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আগমনে উৎসবের গ্রামের পরিণত হয় তেঁতুলিয়া। অনেকে দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন মোস্তাফিজ-শিমু দম্পতির সঙ্গে ছবি তুলতে। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে গত ১০ জুলাই গ্রামের বাড়িতে আসেন বাংলাদেশি পেসার।
মোস্তাফিজের বৌভাত উপলক্ষে বড় ভাই মাহফুজার রহমান মিঠু বলেন, ‘ওর (মোস্তাফিজ) বিয়েটা হঠাৎ হয়েছিল বলে ছোট পরিসরে আয়োজন করতে হয়েছিল। কিন্তু বৌভাতে সেটা পুষিয়ে নিয়েছি। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় ২ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ করা হয়। প্রায় সবাই আসায় আমরা আনন্দিত। আমাদের গ্রামের বাড়িতে গ্রামীণ পরিবেশে হলেও বৌভাত অনুষ্ঠানটি অনেক ভালো হয়েছে। দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই সে যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে পারে।’
মোস্তাফিজুর রহমানের পিতা আবুল কাশেম গাজী বলেন, ‘সে (মোস্তাফিজ) আমার খুব আদরের। আমার ইচ্ছা ছিল তার বিয়েতে বড় করে অনুষ্ঠান করা, কিন্তু বিশ্বকাপের কারণে সেটা হয়নি। বৌভাতের আয়োজন বড় করে করার চেষ্টা করেছি। সপ্তাহব্যাপী গেট ও বাড়িতে আলোকসজ্জা করা হয়। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন সহ হাজার দুয়েক অতিথিকে দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু আরও অনেকে মোস্তাফিজকে বর বেশে দেখতে ছুটে এসেছে। তাদেরও আপ্যায়ন করা হয়েছে। আমার সন্তান মোস্তাফিজ সহ গোটা টিমের জন্য সকালের কাছে দোয়া চাই, তারা যেন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার হাদিপুরে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে সামিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় বাংলাদেশ দলের এই পেসারের। কালীগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের হাজী আবুল কাশেম ও মাহমুদা দম্পতির ছোট ছেলে মোস্তাফিজ আপন মামাতো বোন সামিয়া পারভীন শিমুকে বিয়ে করেন। দেবহাটার হাদিপুর গ্রামের রওনাকুল ইসলাম বাবুর এক ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সামিয়া তৃতীয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।