তিন সপ্তাহ বিশ্রামের পর সাইফের চিকিৎসা

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনআয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ইনজেকশন নিয়ে খেললেও বিশ্বকাপে প্রায় সময় পিঠের ব্যথায় ভুগেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও খেলতে পারেননি বাংলাদেশের এই বোলিং অলরাউন্ডার। সেই চোটেই দেশ ছাড়ার আগের দিন শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে সাইফকে। তারপর চলবে চিকিৎসা।

বিশ্রাম শেষে সাইফকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সুস্থ করার চেষ্টা হবে। তার চিকিৎসায় এরই মধ্যে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘তার (সাইফউদ্দিন) চোটের নাম ল্যাম্বার স্পাইন ফ্যাসেট জয়েন্ট সিনড্রোম। বোলারদের জন্য খুব স্বাভাবিক চোট এটা। অস্ত্রোপচারে এটা ভালো হবে না। খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিন ধরনের চিকিৎসা আছে। সেগুলো ঠিকঠাক করে করতে পারলে ব্যথা কমিয়ে খেলা সম্ভব হবে।’

সাইফের সুস্থতার ধাপগুলো ব্যাখ্যা করলেন এই চিকিৎসক, ‘টেকনিক্যাল কারেকশন হলো প্রথম উপায়। সমস্যা হচ্ছে এতদিন পরে বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করা কঠিন। বায়ো মেকানিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটা একটা বড় পরিকল্পনা।’

সাইফকে নিয়ে দ্বিতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেবাশীষ বলেছেন, ‘দ্বিতীয় চিকিৎসা হতে পারে ইনজেকশন দেওয়া। তবে আমরা বারবার ইনজেকশন দিতে চাই না, সেটা ক্ষতিকর হতে পারে। বিশ্বকাপের সময় দরকার ছিল বলে এটা কাজে লাগানো হয়েছিল। তখন ব্যথা কমানোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

শেষ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাব্লেশন করার চিন্তা করছি। আমরা ওর জন্য এমন একটা চিকিৎসার চেষ্টা করছি যেটায় ক্ষতি কম হবে, কিন্তু ব্যথামুক্ত থাকবে অনেকদিন। এটায় কোনও ক্ষতি নেই, কিন্তু বেশিদিন কার্যকর। তবে আমাদের দেশে সম্ভব না। এই তিন ধরনের চিকিৎসার কথা আমরা জানিয়েছি।’

সবকিছুর আগে আগামী তিন সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রাম জরুরি সাইফের। বিসিবির চিকিৎসক বলেছেন, ‘ওর মূল সমস্যা ব্যথা। ব্যথা বাড়ছে মানে সমস্যা বাড়ছে, ব্যথা নেই মানে ওর কোনও সমস্যা নাই। আপাতত তিন সপ্তাহের পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে। শুধু ওর পুনর্বাসনের ব্যয়াম চলবে, রানিং ও বোলিং এই সময়ে পুরোপুরি নিষেধ। এরপর অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’