মিঠুন-মুশফিকের হাফসেঞ্চুরিতে দারুণ প্রস্তুতি বাংলাদেশের

৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ মিঠুনবিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কা মিশনে গেছে বাংলাদেশ। মূল লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতিতে দেখা মিললো দুর্দান্ত এক দলের। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্টস একাদশের বিপক্ষে তামিম ইকবালরা পেয়েছে সহজ জয়। মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক দলটিকে।

মঙ্গলবার রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকারের চমৎকার বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে করে ২৮২ রান। এই লক্ষ্য মিঠুনের ৯১ ও মুশফিকুর রহিমের ৫০ রানে ভর দিয়ে ১১ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচ খেলার পর একাদশে জায়গা হারান মিঠুন। পরের ম্যাচগুলোতে আর ফিরতে পারেননি ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটসম্যান। যদিও বিশ্বকাপ থেকে ফিরে এসে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জার্সিতে স্বরূপে ফেরেন দুই দিন আগেই। পারফরম্যান্সের সেই ধারা সচল রাখলেন তিনি শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুতেও।

একটুর জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন মিঠুন। তবে ১০০ বলে ৯১ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তিনি, যাতে ছিল ১১ বাউন্ডারির সঙ্গে ১ ছক্কার মার। মিঠুন তৃতীয় উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। মুশফিক ৪৬ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলে যান ৫০ রানের কার্যকরী ইনিংস।

তাদের আগে উদ্বোধনী জুটিতে সুবিধা করতে ‍পারেননি সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৪ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তামিম ভালো শুরু করলেও লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে খেলে যান ৩৭ রানের ইনিংস।

৫৮ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলেন মিঠুন ও মুশফিক। তাদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে কার্যকরী ৩৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের জয় নিশ্চিত করেন সাব্বির রহমান (২৬ বলে ৩১*) ও মোসাদ্দেক হোসেন (১০ বলে ১৫*)।

এর আগে দাসুন শানাকার হার না মানা ৮৬ রান ও শিহান জয়াসুরিয়ার ৫৬ রানে ভর দিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশ ৮ উইকেটে করে ২৮২ রান।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার রুবেল হোসেন। ৭ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। তার মতো ২ উইকেট পেয়েছেন সৌম্যও, ৬ ওভারে তার খরচ ২৯ রান। আর একটি করে ‍উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ‍আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফরহাদ রেজা।