নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ড যুব দল ৭ উইকেটে করেছিল ২৫৬ রান। জবাবে হৃদয়ের হার না মানা ১০৪ রানের পরও টাইয়ে ম্যাচ শেষ করে বাংলাদেশের যুবরা। এরপরও ত্রিদেশীয় সিরিজে ৭ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ফাইনালও নিশ্চিত করেছে তারা। ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। আর ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট স্বাগতিক ইংল্যান্ডের।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংলিশদের শুরুটা ভালো না হলেও জর্ডান কক্সের সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় তারা। কক্স ১৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেন ১২২ রান। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার পর শেষ দিকে অধিনায়ক জর্জ ব্যালডার্সনের ৫৬ রানের ইনিংসে ২৫৬ রান করে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার রাকিবুল হাসান। ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। ২টি উইকেট পেয়েছেন তানজীম হাসান সাকিব।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ৬১ রান তুলতে তারা হারায় ৩ উইকেট। এরপরই শুরু হৃদয় ও শাহাদত হোসেনের প্রতিরোধ। শাহাদত ১০৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে আউট হলেও সেঞ্চুরির পূরণ করেন হৃদয়।
১৩১ বলে হৃদয় অপরাজিত থাকেন ১০৪ রানে। ৯ বাউন্ডারিতে সাজানো চমৎকার ইনিংসটি দিয়েও অবশ্য দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। শেষ বলে জেতার জন্য ৩ রান প্রয়োজন পড়লে বাংলাদেশ নিতে পারে ২ রান। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশের ইনিংসও শেষ হয় ২৫৬ রানে।