বোলিং নিয়ে আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ

সামনের সিরিজে বল হাতে সাফল্য পেতে আত্মবিশ্বাসী মাহমুদউল্লাহ (ফাইল ছবি)কাঁধের ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপে বল করতে পারেননি। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে বল হাতে পেলেও উইকেটের দেখা পাননি। অবশ্য তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাত্র চার ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সামনেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এরপর জিম্বাবুয়ে আর আফগানদের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে বল হাতে সাফল্য পেতে আত্মবিশ্বাসী মাহমুদউল্লাহ।

গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে কাঁধের ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। এই ইনজুরিই তার বোলিংয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রবিবার মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে বোলিং অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘বোলিংটা খুব মিস করছিলাম। এটা আমার মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। আমার মনে হয়, ব্যাট হাতে কিছু করতে না পারলেও বোলিং দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে পারবো। কিন্তু বেশ কিছু দিন সেটা করতে পারিনি। এখন তাই খুব ভালো লাগছে। আশা করি, সামনের সিরিজে ভালো বল করতে পারবো।’

অনেক দিন পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপ চলার সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি একবারও মুখ খোলেননি। ‘আপনি কি সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন?’ প্রশ্নটা করতেই দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের তড়িঘড়ি জবাব, ‘না না, আমি মিডিয়াকে এড়িয়ে যাইনি। আমি শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি ভালো কিছু করে আপনাদের সামনে আসতে চাইছিলাম। বিশ্বকাপটা মোটামুটি গেলেও গত সিরিজটা (শ্রীলঙ্কা সফর) আমার ভালো যায়নি।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন অধ্যায়। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর অধীনে টাইগারদের প্রথম মিশন আফগানিস্তান টেস্ট। নতুন কোচ নিয়ে মাহমুদউল্লাহর বক্তব্য, ‘তার সঙ্গে এখনও পরিচয় হয়নি। তিনি হাই প্রোফাইল কোচ। কয়েক বছর দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ছিলেন আর দলটির হয়ে ভালো কাজও করেছিলেন। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবো। তাকে পেয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে।’

ডোমিঙ্গোকে সেভাবে না চিনলেও নিউজিল্যান্ডের সাবেক স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে ভালো মতোই চেনেন মাহমুদউল্লাহ। সাবেক কিউই তারকাকে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত, ‘তিনি শুধু বড় মাপের বোলারই ছিলেন না। তিনি খুব ভালো কোচও বটে। তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারবো, শিখতে পারবো। তার সঙ্গে আমার বোলিং নিয়ে কথা বলতে মুখিয়ে আছি।’