৩৩ বছরেও সুযোগের অপেক্ষায় ফরহাদ রেজা!

১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ৪৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ফরহাদআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক ২০০৬ সালে। অথচ ১৩ বছর পর ফরহাদ রেজার নামের পাশে মাত্র ৪৭টি ম্যাচ। ২০১৪ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই অলরাউন্ডার কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি নন। ৩৩ বছর হয়ে গেলেও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তার বিশ্বাস, একদিন সুযোগ আসবেই, আবার তাকে দেখা যাবে লাল-সবুজ জার্সিতে।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ (তৃতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ) খেলেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও আসল লড়াইয়ে একাদশে জায়গা পাননি ফরহাদ। বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কা সফরেও একই অভিজ্ঞতা। প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন ‘ব্রাত্য’। তিনি যেন শুধু প্রস্তুতি ম্যাচের খেলোয়াড়!

ফরহাদ অবশ্য এ নিয়ে আর মনখারাপ করেন না। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ‘আমি বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগ সহ সব জায়গায় খেলছি। এর মধ্যে বিপিএলে দেশের সেরা খেলোয়াড়রাই অংশ নেয়। আমাকে তো সুযোগ দিতে হবে। না হলে কীভাবে বোঝা যাবে আমি যোগ্য। অবশ্য আমাকেও পারফর্ম করতে হবে, নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। যদিও একাদশে সুযোগ পাওয়া আমার হাতে নেই।’

শ্রীলঙ্কা আর আয়ারল্যান্ডে তার পারফরম্যান্স তেমন ভালো ছিল না। আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৬৬ রানে এক উইকেট নেওয়ার পর ১৫ রান করেছিলেন। আর শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে ২২ রানে এক উইকেট শিকার করলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।

এমন পারফরম্যান্সের কারণে স্বাভাবিকভাবেই জায়গা হয়নি মূল দলে। ফরহাদের কাছে অবশ্য দল নির্বাচনের সিদ্ধান্তটা একটু কর্কশ বলেই মনে হচ্ছে, ‘মাত্র একটা ম্যাচ দেখে একজন খেলোয়াড়কে যাচাই করা কঠিন। কারণ গত ৭/৮ বছরের পারফরম্যান্স দেখেই আমাকে দলে নেওয়া হয়েছিল। আমার তো মনে হয় কোনও খেলোয়াড়কে আরেকটু বেশি সুযোগ দিলে দলের জন্যই ভালো।’

সবশেষে তার উপলব্ধি, ‘জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, যেখানে শুধু পারফরম্যান্স দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব। পারফর্ম করলে আপনি থাকবেন, না করলে চলে যাবেন!’