‘আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছি’

মেহেদী, মানিক ও জাকিরশ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইমার্জিং টিমের ওয়ানডে সিরিজে সমতা ফেরানোর উচ্ছ্বাস সঙ্গে করে দুই দলে ভাগ হয়ে ঢাকায় ফিরছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই আনন্দ রূপ নিয়েছিল আতঙ্কে। বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় স্ট্যান্ডবাই ৭ ক্রিকেটারকে নিয়ে ফিরতে থাকা গাড়িটি, আহত হন তিন ক্রিকেটার। তাদেরই একজন জাকির হাসান বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছি।’ জানা গেছে, আহত সবাই এখন শঙ্কামুক্ত।  

বৃহস্পতিবার সকালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, এই তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে ভয় নেই। তারা এই মুহূর্তে শঙ্কামুক্ত। নাকে ও কপালে আঘাত পেয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জাকির। এছাড়া বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা আঘাত পেয়েছেন বুকে। আরেক তরুণ পেসার মানিক খান পেয়েছেন পায়ে আঘাত।

এই তিন ক্রিকেটারের বর্তমান অবস্থা জানালেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের ম্যানেজার হাসিবুল হোসেন শান্ত। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কারও কোনও গুরুতর সমস্যা নেই। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। সকালে বিসিবি চিকিৎসকরাও দেখেছেন। কাউকে নিয়েই শঙ্কা নেই। শুরুতে জাকিরকে নিয়ে সংশয় থাকলেও এই মুহূর্তে সেও শঙ্কামুক্ত।’

জাকিরের এই অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ, ‘দুর্ঘটনার পর ভয় পেয়েছিলাম, কিছুতেই সেটা কাটছে না। নাকে আর কপালে ব্যথা পেয়েছি। এই ব্যথা এখনও কিছুটা আছে। তবে বড় কোনও সমস্যা নয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছি। সবার দোয়া ছিল, নয়তো আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

দুর্ঘটনায় পড়া বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানার ভয় এখনও কাটেনি। আরেকটু হলে কী হতো ভাবতেই পারছেন না তরুণ এই পেসার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ভয়টা কাটছে না। কী হতো, চিন্তা করতেই সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তবে যাই হোক অল্পের উপর দিয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’

স্ট্যান্ডবাই হিসেবে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমে ছিলেন এই তিন ক্রিকেটার। স্কোয়াডের মূল সদস্যরা টিম বাসে করে বিকেএসপি থেকে ফিরলেও তাদের জন্য রাখা হয় বিসিবির ছোট কোস্টার। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই মিরপুরের ক্রিকেট একাডেমিতে নিয়ে আসা হয়। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে আজ বৃহস্পতিবার খুলনার উদ্দেশে রওনা হবে দল।