বুধবার সংবাদ সম্মেলনের পর মাঠে গিয়েছিলেন প্রধান কোচ ডোমিঙ্গো। যদিও খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ছিল সৌজন্যমূলক। একদিন পরই শুরু হয়ে গেল আসল মিশন। আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নতুন শিষ্যদের নিয়ে কাজ শুরু করেন ডোমিঙ্গো ও ল্যাঙ্গেভেল্ট।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো নিজের প্রাথমিক লক্ষ্য জানিয়ে গিয়েছিলেন এভাবে, ‘আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। আগামী দুই সপ্তাহ আমাকে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জানতে হবে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আমার মনে হয় এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রথম দিনের কাজে এই কথারই ছাপ পাওয়া গেল মিরপুরের অনুশীলনে। জিম, বোলিং কিংবা ব্যাটিং— যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুরে চলমান বাংলাদেশ জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডোমিঙ্গোর সঙ্গে ল্যাঙ্গেভেল্টও কথা বলেছেন শিষ্যদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। আলোচনা করতে দেখা গেছে ক্যাম্প ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের সঙ্গেও।
নির্ধারিত সূচি থেকে ঘন্টাখানেক বেশি অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথমে হালকা জিম করে স্কিল অনুশীলনে মনোযোগী হন ক্রিকেটাররা। বেলা ১২টার দিকে ক্রিকেটাররা একে একে মাঠ ছাড়লেও নতুন দুই কোচ সময় কাটান বিসিবির অফিসে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে বসে হয়তো প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন দুই প্রোটিয়া কোচ।
পেস বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্টের বিশেষ নজর ছিল তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের দিকে। দলের বাকি বোলারদের নিয়েও প্রথম দিন কাজ করেছেন এই বোলিং কোচ। যদিও প্রথম দিন তেমন কিছু বলেননি তিনি, কেবল পেসারদের বোলিং দেখে গেছেন, তাসকিন-সাইফউদ্দিন জানিয়েছেন তেমনটাই।
তাসকিন বলেছেন, ‘প্রথম দিন কোচের (ল্যাঙ্গেভেল্ট) সঙ্গে আলাপ হলো। উনি আমার গতির প্রশংসা করেছেন। তেমন কিছু বলেননি। কয়েকটি বল ভিন্ন ভিন্ন লেন্থে করতে বলেছিলেন। সব মিলিয়ে প্রথম দিন ভালোই কেটেছে। আশা করি উনার কাছ থেকে ভালো কিছু নিতে পারব।’