লঙ্কানদের কাছে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম

শেষ ওয়ানডেতে হারলো বাংলাদেশইমার্জিং টিমের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারই পেলো সেঞ্চুরি। কিন্তু খুলনায় শেষ হাসি হাসলো সফরকারীরা। সাইফ হাসানের সেঞ্চুরি বিফলে গেলো, পাথুম নিশানকার ম্যাচসেরা ইনিংসে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারালো লঙ্কানরা। তাতে ২-১ এ সিরিজও জিতে গেলো সফরকারীরা।

শনিবার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান এনে দিতে সাইফের পাশাপাশি আরও বড় অবদান রাখেন আফিফ হোসেন। কিন্তু সব ব্যর্থ হয় লঙ্কানদের ব্যাটিং ঝড়ে। বৃষ্টি আইনে কঠিন লক্ষ্য পেয়েও সহজে জিতে যায় তারা। ২৮ ওভারে ১৯৯ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়েছে ২৪ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন সাইফের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়ে। তিনি ৩৯ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে যান ইয়াসির আলীও (৯)।

আফিফের সঙ্গে সাইফের ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক জুটিতে বড় স্কোরের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ। সাইফ ১৩০ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছয়ে ১১৭ রান করে আউট হন। ৭০ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে কালানা পেরেরা সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

লক্ষ্যে নেমে শ্রীলঙ্কা ৬৪ ও ৬৮ রানে দুটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। তবে নিশানকা ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মিনোদ ভানুকার ঝড়ো জুটিতে জয় ছিনিয়ে নেয় সফরকারীরা। মাত্র ১২.৫ ওভারে ১২২ রান করে এই জুটি। ৩২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫৫ রানে ইয়াসিন আরাফাতের কাছে বোল্ড হন ভানুকা।

তবে নিশানকা ৭৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

আগামী মঙ্গলবার খুলনার এই ভেন্যুতে দুই দল মুখোমুখি হবে চার দিনের প্রথম টেস্টে। দুই ম্যাচ সিরিজের শেষটি হবে ৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে।