জয়ের আকাঙ্ক্ষায় ব্যাটিং লাইন-আপে এমন পরিবর্তন

দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধন করেছেন সাদমান ও লিটনপ্রথম ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে সাদমান ইসলামের সঙ্গী ছিলেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ওপেনিংয়ে নামলেন লিটন দাসকে নিয়ে। তিন নম্বরে মোসাদ্দেক হোসেনকে দেখে তো অনেকেই অবাক। এরপর এলেন মুশফিকুর রহিম। পাঁচ নম্বরে সুযোগ পেলেন তিন বা চার নম্বরে নিয়মিত খেলা মুমিনুল হক।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সাকিব আল হাসান জানালেন কেন এতটা পরিবর্তন এসেছে ব্যাটিং লাইন-আপে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘৪০০ রান চেজ করতে হলে আপনাকে ভিন্ন কিছু করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা কখনও ৪০০ চেজ করে জিততে পারিনি। যদি ২০০ চেজ করতাম তাহলে ব্যাটিং অর্ডার একই থাকত। কিন্তু ৪০০ রান করতে অন্তত ১৩০ ওভার খেলতে হবে। আর ১৩০ ওভার ব্যাট করা সোজা কথা নয়। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার সময় ম্যাচ যেন আমাদের হাতে থাকে সেই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা নেমেছিলাম। আর তাই সৌম্যকে নিচে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়।’

পরিবর্তিত ব্যাটিং নিয়ে সাকিবের বিশদ ব্যাখ্যা, “দুই ওপেনার বাঁহাতি হলে শুরুতে নবী ভাইয়ের (মোহাম্মদ নবী) সামনে সমস্যায় পড়তো। নবী ভাইকে আমরা অনেকদিন ধরে চিনি, তিনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে দারুণ কার্যকর। তাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল নতুন বল ভালোভাবে মোকাবেলা করা। ৪০০ করতে হলে টপ ফোরের কাউকে বড় রান করতে হতো। আজকে মোসাদ্দেক ১০০ করে নট আউট থাকলে সবাই বলতো, ‘বাঃ! কী দারুণ সিদ্ধান্ত!’ যেহেতু সে পারেনি, তাই সিদ্ধান্তটা বাজে।”

এর আগে কখনও জাতীয় দলের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেননি মোসাদ্দেক। সাকিব অবশ্য তাকে ওপেনিংয়ে দেখতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘আমি মোসাদ্দেককে ওপেন করতে পাঠাতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম এভাবে ব্যাটিং অর্ডার সাজালে ম্যাচ জেতার সুযোগ তৈরি হবে। সকালবেলা টিম মিটিংয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা মাঠে এসেছিলাম। যদিও পরে মোসাদ্দেককে ওপেনিংয়ে নামানো হয়নি।’