বিদায়ী সিরিজের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চান মাসাকাদজা

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (ডানে)আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে নিয়ে বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার নামতে যাচ্ছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তাই ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।

২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মাসাকাদজার। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি রয়েছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। দেশের জার্সিতে ৩৮ টেস্ট, ২০৯ ওয়ানডে ছাড়াও ৬২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলন পর্ব সেরে জিম্বাবুইয়েন অধিনায়ক মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। দেড় যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বিদায়ের মঞ্চ হিসেবে ৩৬ বছর বয়সী মাসাকাদজা বাংলাদেশকেই বেছে নিয়েছেন। অবসরের প্রসঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখেই তার উত্তর, ‘জিম্বাবুয়ের হয়ে অনেকদিন খেলেছি। উপভোগ করেছি প্রতিটা মুহূর্ত। দেশের হয়ে খেলতে পারা গর্বের ব্যাপার। শেষের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের এমন ব্যর্থতার পেছনে টস হার ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন মাসাকাদজা, ‘চট্টগ্রাম টেস্টের ফলাফল দেখে আমি খুব একটা অবাক হইনি। উইকেট কিছুটা ভিন্ন মনে হয়েছে আমার কাছে। এমন ম্যাচে টস জয় অনেক সময়ই একটি দলকে এগিয়ে দেয়। আর তাদের (আফগানিস্তান) স্পিন আক্রমণ অনেক ভালো। তারা উইকেটের সুবিধা নিতে পেরেছে।’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে এমন স্পিন সহায়ক উইকেট হবে না বলে আশা জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের, ‘টেস্ট স্পিন নির্ভর উইকেট হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে এমন উইকেট হবে না। এখানে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট হবে বলে আশা রাখছি।’

মঙ্গলবার বৃষ্টিতে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। তাদের ওয়ার্ম-আপ শেষ হতেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঝুম বৃষ্টি নামে। যদিও আকাশে কালো মেঘ দেখে ওয়ার্ম-আপের আগেই একাডেমির নেটে কিছুক্ষণ ব্যাটিং করে ফেলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা।

ত্রিদেশীয় সিরিজে দলের ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা থাকলো মাসাকাদজার কণ্ঠে, ‘আমাদের বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড় আছে। আশা করছি আমরা ‍ভালো মানের ক্রিকেট খেলতে পারব। সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আমার আত্মবিশ্বাসী।’