বোলিং পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট আফিফ

ফতুল্লায় আফিফের উইকেট উদযাপনপ্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে অনেক দিন ধরেই ক্রিকেটপ্রেমীদের নজরে তিনি। বিপিএলে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে একটি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছেন এর মধ্যে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে অবশ্য ভালো খেলতে পারেননি আফিফ হোসেন। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শূন্য রানে কট বিহাইন্ড হওয়ার পর ২ ওভারে দিয়েছিলেন ২৬ রান!

এরপর আর বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল আর হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স অনেক দিন পর জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছে আফিফের সামনে। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য। তার আগে বল হাতে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে তরুণ অলরাউন্ডারের। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের জার্সিতে প্রস্তুতি ম্যাচে ১০ রান করে বোল্ড হয়ে গেলেও অফব্রেক বোলিংয়ে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স তার। চার ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে উইকেট নিয়েছেন তিনটি।   

ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বোলিং পারফরম্যান্সে আফিফ সন্তুষ্ট, “গত এক বছরে ‘এ’ দল আর এইচপি দলের হয় প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। অবশ্য ‘এ’ দলের হয়ে খুব বেশি বল করার সুযোগ পাইনি। তবে আজ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পেরেছি। পাওয়ার প্লেতে বল করেছি, উইকেটও নিয়েছি। ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার সুযোগ পেলে আজকের সাফল্য থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে আসবে।”

অবশ্য ব্যাটিং ব্যর্থতায় তিনি কিছুটা হলেও হতাশ, ‘আজ প্রস্তুতির জন্য ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। আরও রান করতে পারলে ভালো হতো।’

শুধু আফিফ নন, পুরো বিসিবি একাদশের ব্যাটিংই ছিল হতাশাজনক। মুশফিকুর রহিম সহ জাতীয় দলের পাঁচজনকে নিয়ে দল গড়লেও স্বাগতিকরা থেমে গেছে মাত্র ১৪২ রানে। বল হাতে আফিফ বাদে অন্যরা ছিলেন অনুজ্জ্বল। ফিল্ডিংয়েও ছিল অনেক ভুল-ভ্রান্তি। তাই হার মানতে হয়েছে ৭ উইকেটে। দলের বোলিং-ফিল্ডিং নিয়ে আফিফের বিশ্লেষণ, ‘আমাদের আরও টাইট বোলিং করা উচিত ছিল। কিন্তু বোলাররা ঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারেনি। ফিল্ডিংও ভালো হয়নি আমাদের। ইনিংসের শুরুর দিকে আমরা কয়েকটা হাফ চান্স মিস করেছি, কয়েকটা ক্যাচও ফেলেছি। ওগুলো ধরতে পারলে ম্যাচের ফল হয়তো অন্যরকম হতো।’