নেমেই একের পর এক শট খেলে প্রতিপক্ষ বোলারদের ভড়কে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ১ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো তার ৬২ রানের ইনিংস। সাকিব আউট হওয়ার পরের বলে নেমেই রায়ান বার্লকে বিশাল ছক্কা মেরে শুরু। ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে শুরুতেই আক্রমণ, এমন প্রশ্নে মাহমুদউল্লাহর উত্তর, ‘ড্রেসিং রুমে থাকা অবস্থাতেই পরিকল্পনা করেছিলাম। পরিকল্পনা ছিল, সুযোগ পেলে ফাস্ট বলেই চান্স নেবো। কারণ আমার মনে হয়েছে বোলাররা আমার পরিকল্পনা প্রত্যাশা করবে না। তাই আমি কাউন্টার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’
২৪ ম্যাচ পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেও মাঝে বেশ কিছু কার্যকর ইনিংস আছে মাহমুদউল্লাহর। যদিও ব্যক্তিগত মাইলফলকের চেয়ে দলের জয়কেই এগিয়ে রাখেন তিনি, ‘হাফসেঞ্চুরি আমার কাছে ম্যাটার করে না। ম্যাটার করে টিম জিতেছে কিনা। কারণ টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন, অনেক সময় ১০ কিংবা ২০ রান করেই ম্যাচ জেতানো যায়। আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন, ওটাই মূল্যবান হয়ে দাঁড়াবে।’
এমনকি ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও সমস্যা নেই মাহমুদউল্লাহর, ‘আমার ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আমি যে কোনও ব্যাটিং অর্ডারে খেলতে প্রস্তুত থাকি।’
গত বিশ্বকাপের মাঝমাঝি থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে সিনিয়রদের পারফরম্যান্সে ‘বিশেষ কিছু’ ছিল না। ঢাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সাকিব সিনিয়রদের দায়িত্ব নিয়ে খেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিনিয়রদের পারফরম্যান্সেই ফল এসেছে।
সিনিয়রদের ফর্মে ফেরাটা নিশ্চয় স্বস্তির? মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ভালো খেলা, পুরো দল আমাদের ওপর আস্থা রাখে। সেই প্রতিদান দিতে পারাই বড় ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা আামদের ধারাবাহিক পারফর্ম করতে হবে, এখানেই আমাদের ফোকাস।’
শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের রান প্রত্যাশা মতো হয়নি। বেশ কিছু ফুলটস বলও বাউন্ডারিতে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এখানে ব্যাটসম্যানদের স্কিলের ত্রুটি নাকি পাওয়ার হিটিংয়েই সমস্যা? মাহমুদউল্লাহর মতে, ‘আমরা স্কিল হিটিংয়ে অনেক বেশি পারদর্শী পাওয়ার হিটিংয়ে চেয়ে। যখন সেট থাকি, তখন আমরা আমাদের পাওয়াটা কাজে লাগাতে পারি। আমরা ক্রিস গেইল কিংবা আন্দ্রে রাসেল নই। আমাদের স্কিল হিটিংয়ের ওপরই বেশি ফোকাস রাখতে হয়। আমি একটা ফুলটসে আউট হলাম, আরেকটা মিস করেছি। আমার মনে হয় ফুলটস বল মুশফিকই সবচেয়ে বেশি ভালো খেলে। এই জিনিসগুলো ওয়ার্ক আউট করতে হবে। স্কিল হিটিংয়ের চেয়ে পাওয়ার হিটিং কিভাবে আরও বাড়ানো যায়, এ ব্যাপারে কোচের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’