শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রাব্বির কীর্তির পর শাহরিয়ার নাফীস ও ফজলে মাহমুদের হাফসেঞ্চুরিতে বড় লিড নেয় বরিশাল। ৮ উইকেটে ২৩১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে তারা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৭ রান করে শনিবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সিলেট। ৮ উইকেট হাতে রেখে ১১৮ রানে পিছিয়ে থেকে তারা শেষ দিন খেলতে নামবে।
৩ উইকেটে ৬৮ রানে তৃতীয় দিন খেলতে নামে সিলেট। প্রথম বলেই জাকির হাসানকে (৩২) ফেরান আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া রাব্বি। ওই ওভারে জাকের আলীও রানের খাতা না খুলে তার শিকার। রাব্বি তার পরের ওভারে পঞ্চম উইকেট পান শাহানুর রহমানকে ফিরিয়ে। এনিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট শিকার করলেন ডানহাতি পেসার।
রাব্বির গতিতে বিপর্যস্ত সিলেট আরও ভেঙে পড়ে নুরুজ্জামানের স্পিনে। নিজের দুই ওভারে ৩ উইকেট নেন ডানহাতি অফস্পিনার। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রেজাউর রহমানকে আউট করে সিলেটকে গুটিয়ে দেন রাব্বি। ১৬.১ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন তিনি।
বরিশালকে বড় লিড এনে দিতে অবদান রাখেন নাফীস ও অধিনায়ক ফজলে। ইনিংস সেরা ৭০ রান করেন ফজলে। আর নাফীসের ব্যাটে আসে ৬৩ রান।
সিলেটের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রেজাউর, দুটি পান কাপালি। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে সিলেট।
শামসুর রহমানের ৫৫ রানের পর মাহমুদউল্লাহ ৬৩ রান করেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ফিরে ব্যাটে বলে দারুণ এই অলরাউন্ডার। প্রথম ইনিংসে নেন ৩ উইকেট, আর ব্যাট হাতে খেলেন ১৩৪ বলের ইনিংস, যাতে ছিল ৫ চার ও ১ ছয়। ৮১ রানে অপরাজিত জাবিদ হোসেনের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে আউট হন তিনি।
জাবিদের সঙ্গে ১৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাঠ ছেড়েছেন শহীদুল ইসলাম। তিনি অপরাজিত আছেন ৮২ রানে।
এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন চট্টগ্রামের মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি।