পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম জয় সালমা-রুমানাদের

দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নাটকীয় জয় পেয়েছে নারী ক্রিকেট দলপাকিস্তান সফরে এর আগে সাফল্যের দেখা পায়নি নারী ক্রিকেট দল। চার বছর আগে প্রথম সফরে দুটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে বলতে গেলে লড়াই করতেই পারেনি। এবারও তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরার আশঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নাটকীয় জয়ে রুমানা-সালমাদের মুখে সাফল্যের হাসি। ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের পরদিন এলো আরেকটি উৎসবের উপলক্ষ্য।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতেও হার মেনেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডে লাল-সবুজ দল জিতেছে ১ উইকেটে, শেষ ওভারের রোমাঞ্চে।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ২১০ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ওপেনার নাহিদা খান (৬৩), পাঁচ নম্বরে নামা আলিয়া রিয়াজ (৩৬) এবং অধিনায়ক বিসমাহ মারুফের (৩৪) ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিক দল।

৩৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ বাংলাদেশের সেরা বোলার। ৩৬ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে থাকা সালমা খাতুন।

জবাবে ২৯ রানে দুই উইকেট হারালেও মুর্শিদা খাতুন ও ফারজানা হকের ৮২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৬৭ রান করে ফারজানা দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে ওপেনার মুর্শিদার ব্যাট থেকে। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠে রুমানার অবদান ৩১ রান। রুমানার ঠিক পরে নেমে ২০ রান করেছেন সানজিদা ইসলাম।

৪২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান করে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ১৮ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে পড়ে যায় হারের শঙ্কায়। শেষ পর্যন্ত জাহানারা আলম ও নাহিদা আক্তারের দৃঢ়তায় এক বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দল। জাহানারা ৭ ও নাহিদা অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।

৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ফারজানা।