বগুড়ায় প্রথম স্তরের ম্যাচে ঢাকা টস জিতে রংপুরকে বোলিংয়ে পাঠায়। প্রথম ১০ বলের মধ্যে দুই ওপেনার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী মারুফ রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন। এরপর অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে সঙ্গে করে ৮০ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন সোহরাওয়ার্দী। ৯৬ বলে ১১ চারে ৫৭ রানে বিদায় নেন তিনি। পরের ওভারে বিদায় নেন নাঈমও (২৩)।
দলীয় ১০৪ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন আরিফুল হক (১৫)। নাসির হোসেন ৫ ও তানবীর হায়দার ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। মেঘলা আকাশের কারণে তৈরী হওয়া আলোকস্বল্পতায় ম্যাচ শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। একই কারণে ম্যাচ শেষ হয় বিকেল ৪টার কিছু আগে। এই সময়ে ৪১ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১১০ রান করে রংপুর।
ঢাকার পক্ষে শাহাদাৎ হোসেন ও সালাউদ্দিন শাকিল দুটি করে উইকেট নেন।
রাজশাহীতে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা মেট্রো। শামসুরের সেঞ্চুরির সঙ্গে আল আমিনের হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮২ রানে দিন শেষ করে তারা।
মাত্র ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর রাকিন আহমেদের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়েন শামসুর। রাকিন ৪৮ রানে উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব (১) ফিরে যান দ্রুত। আল আমিনের সঙ্গে এরপর ১২৬ রানের জুটি গড়েন শামসুর। ৬৯ রান করে আল আমিন আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
১৮০ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরি করা শামসুর থেমেছেন দলকে ২৬০ রানে রেখে। তার ১১৪ রানের সেরা ইনিংস ছিল ১৯৩ বলের, চার ছিল ১৩টি।
শামসুরের সেঞ্চুরি উদযাপনের দিনে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের রেজাউর রহমান। তিনটি পান এনামুল হক জুনিয়র।
ঢাকায় খুলনা ও রাজশাহীর প্রথম স্তরের ম্যাচে বল মাঠে গড়ায়নি। এছাড়া বরিশালে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে স্বাগতিকদের সঙ্গে চট্টগ্রামের খেলা হয়নি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে।