নাগপুরে শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে তাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে ৭ উইকেটে প্রথম ম্যাচ জয়ের স্মৃতি। টানা ৮ ম্যাচ হারের পর প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হারায় তারা। স্বাগতিকদের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা তাদের সাধ্যমতো খেললে জেতা সম্ভব মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।
ঘরের মাঠে ভারত অদম্য, তাই স্বাগতিকদের ফেভারিট মানছেন ডোমিঙ্গো। কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়েও সম্ভাবনা দেখছেন তিনি প্রথম দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সের কারণে, ‘প্রথম ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স ছিল এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ অবস্থায় ছিলাম আমরা, কিন্তু ব্যাটিংয়ে সম্ভবত কিছু ভুল হয়েছিল। তবে আমরা যদি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং আমাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী খেলতে পারি তবে ভারতকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি করতে পারবো। এমনকি হারাতেও পারবো।’
এজন্য ভারতের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণকে চাপে রাখতে হবে বললেন বাংলাদেশ কোচ, ‘এটা আর গোপন নেই যে তাদের বোলিং আক্রমণ কিছুটা অনভিজ্ঞ। যদি ভালোভাবে ব্যাট করতে পারি এবং কৌশল কাজে লাগাতে পারি তাহলে তাদের বোলিং আক্রমণ চাপে থাকবে। হ্যাঁ, তারা ভালো দল। কিন্তু আমরা আমাদের সেরা ব্যাটিং করতে পারলে তাদের বোলারদের চাপে রাখা সম্ভব।’
২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে শেষবার নাগপুরে এসেছিলেন ডোমিঙ্গো। তৃতীয় টেস্টে মাত্র আড়াই দিনে হার মানে তার দল, ভারতীয় স্পিনাররা আদায় করে তাদের ২০ উইকেটের সবগুলো। ওই অভিজ্ঞতা থেকে ডোমিঙ্গো বললেন, এই ম্যাচে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকবে, ‘পিচটা দেখতে এবার বেশ ভালো লাগছে। নাগপুরে রাজকোটের চেয়ে কম স্কোর হয়ে থাকে। ওখানে গড় স্কোর ছিল ১৮৫, আর এখানে ১৫৫। আমার মনে হয়, রাজকোটের চেয়ে এখানে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে স্পিনাররা।’