গোলাপি বলে মানিয়ে নিতে মিরাজদের কঠোর পরিশ্রম

গোলাপি বলে অভ্যস্ত হতে কঠোর পরিশ্রম করছেন মিরাজরাযতটা বেশি সম্ভব, গোলাপি বল নিয়ে অনুশীলন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রমাণ পাওয়া গেলো তাদের ট্রেনিংয়ে। ইন্দোরে প্রথম টেস্টে মাত্র তিন দিনে হেরে যাওয়ার পর গোলাপি বলে অভ্যস্ত হতে গত দুই দিন ধরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

অনুশীলনটা কিন্তু দিনে নয়, গোধূলি বেলায়। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর ফ্লাডলাইটের আলো যখন পুরোপুরি পড়া শুরু করে, তখন। প্রথম টেস্ট আগেভাগে শেষ হওয়ায় ইন্দোরেই আছেন মুমিনুল হকরা। রবিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন কয়েকজন। সোমবার হোলকার স্টেডিয়ামে নেমে গেলো পুরো দল। অনুশীলনটা করলেন একেবারে ভিন্নভাবে। শিশির সিক্ত বলে মানিয়ে নিতে গোলাপি বলটা পানিতে ভিজিয়ে বোলিং করতে দেখা গেছে।

অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান মুমিনুলসেন্টার উইকেটে তিন ঘণ্টার মতো কাটান খেলোয়াড়রা। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সচরাচর স্লিপ থেকে খানিকটা পেছনে পাঠিয়ে উইকেটকিপার লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচিং ড্রিলে ব্যস্ত রাখেন।

অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং অনুশীলন করলেন তিন নেটের একটিতে। এই সময়ে গোলাপি বলের আচরণ সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য জানা হয়ে গেছে তার। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, এই ভিন্ন ধরনের বল মোকাবিলায় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কথা।

গোলাপি বল পরখ করছেন রাহীট্রেনিং পদ্ধতির কিছুটা প্রকাশ করলেন মিরাজ, ‘পেস বোলাররা সামনের কয়েক দিন বল পানিতে ডুবিয়ে রেখে বোলিং করবে। আমি মনে করি এই কয়েখ দিনে আমরা মানিয়ে নিতে পারবো। সম্ভবত এই বল ভেজা থাকা অবস্থায় একটু বেশি স্কিড করে। স্পিনাররা বল স্কিড করাতে পারবে। বাউন্স ও টার্নও হবে।’

ব্যাট হাতে গোলাপি বলের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি, ‘গোলাপি বলের বিরুদ্ধে আমি ব্যাট করেছিলাম। পিচে পড়ার পর এটা অনেক দ্রুত ছুটে আসে, ব্যাটে লেগেও গতি বেড়ে যায়। আমার মনে হচ্ছে, এটা অনেক বেশি সুইং করবে এবং কাটও করা যাবে। গোলাপি বলে আমরা এখনও নতুন। অনেক বেশি সময় নেই আমাদের, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি যত বেশি সম্ভব অভ্যস্ত হতে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো অনেকক্ষণ খেলতে হবে, বিশেষ করে একজন ব্যাটসম্যান এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর।’

লম্বা সময় ব্যাট করলেন মিরাজদুই সেশন অনুশীলনের পর এই বলকে বেশির ভাগ খেলোয়াড় চ্যালেঞ্জিং হিসেবে মনে করছেন, ‘ক্যাচিং বা ফিল্ডিংয়ের সময় বল দেখা নিয়ে খুব বেশি সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ম্যাচের সময়। প্রায় সময় সিম দেখা যায়, কিন্তু মাঝেমধ্যে সেটা আপনি নাও দেখতে পারেন।’ ক্রিকইনফো